পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○o অতিপ্রিয় ভগবান বিষ্ণু ব্ৰহ্ম ইএাদিদেবগণ দ্বিজগণ ও মুনিগণ ইহঁরা ঐ সকল মন্ত্রৰার জগৎকারণ ব্ৰহ্মারও কারণ দেবদেব শঙ্করের আরাধনা করিয়া থাকেন। মনীষিগণ ভগবান শিবকেই শঙ্কর দেবদেব রুদ্র ও উলাপতি কহিয়া থাকেন। নমঃ শিবায়, নমস্তে শঙ্করায়, নমো মহেশ্বরায়, নমো রুদ্রায়, নমঃ শিবুড়রায়, এই স্বমাহাস্থ্য-প্রকাশক প্রভুর পঞ্চমহামন্ত্র যে ব্রাহ্মণ ক্ষণকাল জপ করে, সে ব্ৰহ্মহত্যাদি পঞ্চ মহাপাতক হইতে বিমুক্ত হয়। পূৰ্ব্বে প্রভুনামক মনুর অধিকার ভুক্ত তৃতীয় ত্রেতাযুগে পরমাত্মা ব্ৰহ্মার মেঘবাহননামক কল্পে খুদ্ধমুকনামক এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। কমলনয়ন দেবদেব জনাৰ্দ্দন মেম্বরূপী হইয়া দেবদেব কৃত্তিবাসকে বহন করেন, সেই ঈশ্বরের অতিরিক্তভারে নিশ্বাস-প্রশ্বাসক্রিয়া-রহিত হওয়ায় অতিপীড়িত হইয়া শিতিকণ্ঠকে বিজ্ঞাপনপূর্বক দেবদেব প্রভু বিষ্ণু, রুদ্র উদ্দেশে অনন্তমনে তপস্তা করিয়াছিলেন, তদবধি উক্ত কল্প মেঘবাহন নামে অভিহিত হইয়াছে। ঐ কল্পে কোন মুনির শাপে ধুন্ধুমুকের ঔরসে এক অতি হরাত্মা পুত্র জন্ম গ্রহণ করে। ধুন্ধুমুক কামী হইয়৷ নিজ ভাৰ্যার সহিত রমণ করিয়া অমাবস্ত-বিভাগে প্রথম মুহূৰ্ত্তে তাহতে গর্ভস্থাপন করেন, তখন বিশল্যনামী ধুন্ধুমুকপত্নী গর্ভিণী হইয়া শনিগ্রহকর্তৃক বক্ষিত রুদ্র মুহূর্তে অত্যায়াসে পুত্র প্রসব করেন। ১—১৬ । তখন মিত্রাবকুণনামক গুষিদ্বয় উহাকে পিতা মাতা ও নিজের রিষ্টে উৎপন্ন দৈখিয়া ধুন্ধুমুককে নির্জনে কহিয়াছিলেন, এই ত্বদীয় তনয় অতি ছাত্মা হইবে; এবং বশিষ্ঠ কহিয়াছিলেন,&হ ধুন্ধুমুক ! তোমার পুত্র অতি নিকৃষ্ট ও অতি দুরাত্মা হইলেও কালে বৃহস্পতির অনুগৃহে পাপ হইতে মুক্ত হইবে। ধুন্ধুমুক নিজ পুত্রের ঈদৃশ ব্যাপারশ্ৰবণে দুঃখিত হইয়াও পুত্রস্নেহে তাহার জাতকৰ্ম্মাদি স্বয়ং নিৰ্ব্বাহ করিলেন ও নালাশাস্ত্র অধ্যয়ন করাইলেন। হে হুব্রতগণ! মুন্ডুমুকতনয় যথাবিধি অধীতশাস্ত্র ংখা পরিণয়কাৰ্য সম্পন্ন করত গুরুসোপরায়ণ হইল। হে মুনিবরগঞ্জ একদা ভুমুকতনয় মোহअबूरू शक भूज्जनाद्रौ ममfन कांगै रहेब्रा निछ ভাৰ্ধর স্থা দিবাত্র তাঁহাতে আসক্ত রছিল। ডাবৰি চুদ্ধি দ্বিজাধম শুঘার অনুরাগ বর্ধনীৰ্থ নিজধৰ্ম্ম-গং পরিভৃগুপুৰ্ব্বক উইর সহিত এক শ্যাশান একাসনে উপবেশন ও মধ্য পৰ্যন্ত পান করিতে লাগিল। হে দ্বিজোত্তমান। পরে উক্ত पिंछौंथभ (केमिकांग्नर१ कृनि७ श्हेंब्रीं धै अर्कलाने লিঙ্গপুরাণ। খুদ্রাকে নিধন করিলে শূদ্রর ভ্রাতৃগণ উপস্থিত হইয়া দুৰ্ব্বদ্ধি যুদ্ধমুকের পিতা মাত সুন্দরী ভাৰ্য্যা ও গুলকগণকে বিনাশ করিল। এইরূপে ধোঁন্ধুমুকের কুলনিহত হইল! তদর্শনে রাজা ঐ শূদ্রর ভ্রাত প্রভৃতিকে সবংশে নিধন করিলেন। অনন্তর ধৌম্বুমুক নানাদেশ পর্যটন করিতে করিতে যকৃচ্ছাক্রমে বৃহস্পতি ঋষির আশ্রমসন্নিধানে উপস্থিত হইলেন। অনন্তর পূৰ্ব্বে দেবদেব মহেশ্বরের নিকট হইতে পাশুপত ব্ৰত লাভে শিবমন্ত্রজপপরায়ণ সেই মুনির দর্শন পাইলেন। ১৭–২৮। ধোঁকুমুক র্তাহার নিকট হইতে পঞ্চাক্ষর ও ষড়ক্ষর রুদ্রমন্ত্র লব্ধ হইয়া “নমঃ শিবায়” এই পঞ্চাক্ষর মন্ত্র লক্ষসংখ্যক জপ করিলেন এবং যথাবিধি স্বাদশ মাসিক রুদ্র-ত্রতের অনুষ্ঠান করিবার পর কালক্রমে মৃত্যু হইলে যমকর্তৃক শাস্ত্রজ্ঞানবিষয়ে পূজিত হইয়া নিজ পিতা মাতা চারুহাসিনী পতিব্ৰত ভাৰ্য্যা ও শ্যালকদিগকে উদ্ধার করিলেন। তখন ইন্দ্রাদি দেবগণেরও পূজ্য হইয়া আত্মীয়দিগের সহিত বিমানে আরোহণপূর্বক শিবলোকে যাইয় গণাধিপত্য লাভ করত রুদ্রদেবের প্রিয়পাত্র হইয়া তথায় অবস্থান করিতে লাগিলেন। ২৯—৩২। এজন্ত অষ্টাক্ষর ও দ্বাদশাক্ষর মন্ত্র অপেক্ষ পঞ্চাক্ষর মন্ত্রে কোটিগুণ ফল আছে এ বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। একারণ যে ব্যক্তি পুৰ্ব্বোক্তবিধানে শক্তিবীজ-সমন্বিত পঞ্চাক্ষর রুদ্রমন্ত্র নিত্য জপ করে, সে পরমপদ লাভ করে । এই আপনাদিগকে সৰ্ব্বোত্তম সার কথা কহিলাম , যে ব্যক্তি ইহা স্বয়ং পাঠ করে, শ্রবণ করে বা ব্রাহ্মণগণকে শ্রবণ করায়, সে রুদ্র-পালিত সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মলোকে গমন করে । ৩৩-৩৬ । অষ্টম অধ্যায় সমাপ্ত। নবম অধ্যtয় । ঋষিগণ কহিলেন, পূৰ্ব্বে দেবগণ স্বয়ং ব্রহ্মা ও প্রশংসিতক্রিয় শ্ৰীকৃষ্ণ ষে দিব্য পাশুপত-ব্ৰত করিয়াছিলেন এবং ঐ পতিত ব্ৰাহ্মণ ীেকুমুকও যে পাশুপত ব্ৰত আচরণ করি লক্ষবার সেই মন্ত্ৰ জপ করা, পরমগতি লাভ করিয়াছে, সেই পাশুপতৃ পতিই বা কিরূপ? তাহ আমাদিগকে • বলুন, এৰিয়ে অ মাদিগের অভ্যস্ত কৌতুহল হইতেছে।