পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোড়ী আমাকে তুমি অবিশ্বাস ক’রো না। আমার আয়ুর দাম তো জানো, হয়ত জার দেখাও হবে না। আমাকে যে তুমি কতরকমে দয়া করে গেলে, শেষদিন পৰ্যন্ত আমি সেই কথাই স্মরণ করব। ষোড়শী । আচ্ছা, আস্থন আমার সঙ্গে । [ রুদ্ধ মন্দিরের দ্বারে গিয়া ষোড়শী প্রণাম করিল। জীবানন্দ বলিতে লাগিলেন ] জীবানন্দ । তোমাকে আমার বড় প্রয়োজন অলকা। ছটো দিনও কি আর তোমার থাকা চলে না ? ষোড়শী । না ! জীবানন্দ । একটা দিন ? ষোড়শী । না। জীবানন্দ । তবে সকল অপরাধ আমার এইখানে দাড়িয়ে ক্ষমা কর । ষোড়শী । কিন্তু তাতে কি আপনার প্রয়োজন আছে ? জীবানন্দ । এর উত্তর আজ দেবার আমার শক্তি নেই। এখন কেবল এই কথাই আমার সমস্ত মন ছেয়ে আছে অলকা, কি করলে তোমাকে একটা দিলও ধরে রাখতে পারি। উঃ—নিজের মন যার পরের হাতে চলে যায়, সংসারে তার চেয়ে নিরুপায় বুঝি আর কেউ নেই। 登 [ষোড়শী জীবানন্দের কাছে আসিয়া স্তব্ধ হইয়া নীরবে দাড়াইল । ] জীবানন্দ । ( দাড়াইয়া ) আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ অলকা, সবাই জানবে আমি শাস্তি দিয়েচি, তুমি সহ করেচ, আর নিঃশব্দে চলে গেছ। এত বড় মিথ্যে কলঙ্ক আমি সইব কেমন করে ? তাও সয় যদি একটি দিন—শুধু কেবল একটি দিনও তোমাকে কাছে রাখতে পারি। * - - - - ষোড়শী । ( পিছাইয়া গিয়া ) চৌধুরীমশাই, কিসের জন্য এত অস্ত্রনয়-বিনয় ? আপনার পাইক-পিয়াদাদের গায়ের জোরের ত আজও অভাব হয়নি। আপনি ত জানেন, আমি কারো কাছে নালিশ করবো না। জীবানন্দ । ( পথ ছাড়িয়া সরিয়া) তা হলে তুমি যাও। অসম্ভবের লোভে তোমাকে , আমি পীড়ন করব না। পাইক-পিয়াদা সবাই আছে অলকা, তাদের জোরের অভাব হয়নি। কিন্তু যে নিজে ধরা দিলে না, জোর করে ধরে রেখে তার বোঝাবয়ে বেড়াবার জোর আর.আমার গায়ে নেই । - , ষোড়শী । ( গড় হুইয়া প্ৰণাম করিয়া জীবানন্দের পায়ের ধূলা মাথায় তুলিয়া) আপনার কাছে আমার একান্থ অঙ্কুরোধ 炉》 እoሻ– »ነ