পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । Q @ রিক কষ্ট প্রাপ্তি অপেক্ষা, পূৰ্ব্বে সতর্কত অবলম্বন করা মহতেরই কার্য । আয়ের সমস্ত টাকা ব্যয় করা নিতান্ত মূঢ়ের কার্য্য ; কারণ সঞ্চিত ধন হস্তে না থাকিলে সময় বিশেষে নিতান্ত বিপদাপন্ন হইতে হয় । কোন বৎসর দুর্ভিক্ষ হইল, কোন বৎসর জলপ্লাবন বশতঃ শস্য উৎপন্ন হইল না ; কিন্তু হস্তে টাকা থাকিলে তজ্জন্য বিপদাপন্ন বা ঋণগ্রস্ত হইতে হয় না ; বস্তুতঃ সেই সঞ্চিত ধন দ্বারা দুঃসময়ে প্রকৃতিপুঞ্জের উপকার করিয়া ঈশ্বরের প্রীতিভাজন হওয়া যায়। বিশেষতঃ, আমাদিগের শাসনকৰ্ত্তার রাজস্ব আদায় সম্বন্ধে যে নিদাৰুণ কঠোর নিয়মাবলি করিয়াছেন, তাহাতে সঞ্চিত ধন হস্তে না থাকিলে, সম্পত্তি রক্ষার কোন ভরসা থাকে না । এই সংসারে ক্ষমবান না হইলে মান সভ্রম কিছুই থাকে না । ধন, ক্ষমতার প্রধান উপায় ; প্রত্যুতঃ ধনকে ক্ষমতার অবতার বলিলেও বলা যাইতে পারে। যাহার বিপুল ধন থাকে সে অধিকার বৃদ্ধি করিতে পারে, বহুসংখ্যক লোক প্রতিপালন করিতে ও দেশের প্রভূত সঙ্গল করিতে পারে—এ সমস্তই ক্ষমতার পরিচয় । এটি গেল ধন ব্যয়ের সাংসারিক দৃশ্বা। এস আমরা এক্ষণে দৃশ্ব পরিবর্তন করিয়া ঐশী দৃশ্বটি দেখি। তোমার হস্তে যে ধনরাশি আছে তাহাতে কি তোমার নিগূঢ় আত্ম স্বত্ব ; না তাহাতে জন সাধারণেরও কিঞ্চিৎ অধিকার আছে ? ধনিম্ ! তুমি স্থিরবুদ্ধি হইয়া দিব্য চক্ষে দেখ তাছাতে ব্যক্তি মাত্রেরই অধিকার আছে। জগদীশ্বর মনুষ্যকে পরস্পরাধীন করিয়াছেন ; সকলেই সকলের সাহায্য সাপেক্ষ । তুমি যে ধন-গরিমা করিতেছ, তুমি সৰ্ব্বাপেক্ষ অধীন, তুমি করদাতাদিগের সম্পূর্ণ অধীন। আর কে তোমাকে এই উচ্চপদারূঢ় করিয়াছে ? মহুষ্যের স্বাভাবিক অবস্থার প্রতি নেত্রপাত কর, দেখিবে প্রজাপুঞ্জের ঐকমত্যের উপর তোমার সম্পূর্ণ নির্ভর । মনুষ্য সমাজ ঈদৃশ পরস্পরাধীনতা রূপ মনোহর নিয়ম দ্বারা শাসিত হইতেছে । যদি কেহ এক জনকে হত্যা করে, তুমি তাহাতে ব্যাকুল হইরা ছত্যকারীর দণ্ড