পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

回·


মালিকও ভূমি। আজ হতে তুমিই আমার রত্নেশ্বরের কথা শুনিয়া ডোমনী মেয়ে অহলাদে আটখানা। মাথা নাড়িয়া তাহার কথায় সায় দিয়া তাড়াতাড়ি সে পালঙ্কের উপর বসিয়া পড়িল। রত্নেশ্বরও তাহাকে আদর করিয়া টানিয়া লইল । এই সময়ে কাজলরেখা স্নান করিয়া মন্দিরে ফিরিল। l সেই দাগী কুমারের গা ঘোঁসিয়া পালঙ্কে বসিয়া আছে মন্দিরে ঢুকিয়াই সে দেখে-কুমার জাগিয়া উঠিয়া বলিস্থাছে, আর হাতের কঙ্কণ দিয়া লে যে-দাসী কিনিয়াছে, সেই দাসী কুমারের গা ঘে সিয়া পালঙ্কে বসিয়া আছে! এ কি ব্যাপার?-কিছুই বুঝিতে ন৷ পারিয়া কাজলরেখা অবাক ইহয়া দরজার গোড়ায়ু দাড়াইয়৷ রহিল। রত্নেশ্বর কাজলরেখাকে দেখিতে পাইয়া ডোম্নী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করিল—‘এ আবার কে ?” ডোম্নী মেয়ে জবাব দিল—‘ও আমার দাসী।'

  • t**にリef -

ডোমনী মেয়ের কথা শুনিয় কাজলরেখার চক্ষু স্থির । মনের দুঃখে সে ভাবিতে লাগিল--- 'কৰ্ম্মদোষে বার বছর ছিলাম বনবাসী। দাসী ছইল রাজরাণী, আমি হইলাম দাসী ॥ কিন্তু এখনও তো বার বছর ফুরায় নাই,—মুখ ফুটিয়া নিজের পরিচয় দেওয়ারও জো নাই, আর পরিচয় দিলেও চন্দ্রস্থৰ্যোর অদেখা এ গভীর বনে তাহা বিশ্বাস করিবে কে ! কাজল মনের দুঃখ মনের মধ্যেই চাপিয়া রাখিল । এদিকে প্রাণ পাইয়। রত্নেশ্বর বাড়ী যাওয়ার জন্ত ব্যাকুল ৮ইয়া উঠিল। তখন ডোমনী মেয়ে আর কাজলরেখাকে সঙ্গে লইয়া সে দেশে ফিরিল। হছার মধো রত্নেশ্বরের বাপ-মা দুজনেই মারা গিয়াছেন । ডোমনী মেয়ে রত্নেশ্বরের বাড়ী আসিয়া স তাই রাজরাণী হইয়। বসিল । আর কাজলরেখা cउामनौ ८भtप्रश्न, नै। नौ श्ईप्रा गि४िन । কিছুদিন যাইতে না যাইতেই ডোমনী মেয়ের ভাবচরিত্র দেখিয়া রত্নেশ্বরের মনে খট্কা লাগল— এই তাহার স্ত্রী !--দাত মাজে না, গা ধোয় না, মপায় তেল দেয় না, ছোট লোকের মত দ্যাকড়া ছাড়া পরে না, আর কথায় কথায় কোমর বাধিয়। সকলের সঙ্গে কোদল করে । আর তাহারই দাসী যে, কেমন সে সবাভবা লক্ষ্মীটি,-সাতচড়ে মুখে রা নাই ভোরে উঠিয়া স্নান করে, দেবদেবীরে প্রণাম না কবিয়। জল ফোটা মুখে দেয় না, সকলের শেষে খায়, সকলের শেষে শোয়,---মুখের দিকে চাইলে মনে হয় যেন শিশিরে-ভেজা যুঁইয়ের কলিটি । রত্নেশ্বর প্রত্যেক দিনই দুই জনকে দেখে আর তাহার মনের খটকা বাড়িয়া যায়। কিন্তু এ খটকা দূর করিবারই বা উপায় কি ? একদিন রত্নেশ্বর বন্ধুবান্ধবদের কাছে মনের কথা বলিল। বন্ধুবান্ধবের বলিল, বেশ, দুজনকেই তবে পরীক্ষা কর। রত্নেশ্বর বলিল ‘কি পরীক্ষা ? বন্ধুবান্ধবেরা বলিল, “তুমি দুজনকেই গিয়া বলে। শীগণীরই তুমি বাণিজ্যে যাবে, তার জন্তে তোমার লক্ষ্মী পূজা করার দরকার ; পুজার জন্তে দুজনেই আলপনা দিক। হাতের আলপনা দেখলেই বোঝা যাবে কার কোন বংশে জন্ম ।’ >२२>


[u]]جمهههههاجم