পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చి कांबा সে যে ক্লান্ত তাহাতে সংশয় ছিল না, কিন্তু ক্লান্তির দোহাই দিতে তাহাকে কখনও দেখি নাই। উভয়ে নিঃশব্দে উঠিয়া দাড়াইলাম। রঙ্গারহস্যে আজিকার প্রভাত আরম্ভ হইয়াছিল আমাদের ভারি একটা প্ৰসন্নতার মধ্য দিয়া, সায়হ্নের সভাও জমিয়াছিল হাস্যপরিহাসে উজ্জ্বল হইযা ; কিন্তু ভাঙ্গিল যেন নিরানন্দের মলিন অবসাদে । আহারের জন্য দুজনে যখন রান্নাঘরের দিকে অগ্রসর হইলাম তখন কাহারও মুখে কোন कथों श्व्नि भां পরদিন সকালে বাজানন্দ প্ৰস্থানের উদ্যোগ করিল। কাহারও কোথাও যাইবার কথা উঠিলেই রাজলক্ষ্মী চিরদিন আপত্তি করে । দিনক্ষণের অজুহাতে আজ নয় কাল, কাল নয়। পরশু করিয়া অত্যন্ত বাধা দেয় ; কিন্তু আজ সে একটা কথাও বলিল না। শুধু বিদায় লইয়া যখন সে প্ৰস্তুত হইল, তখন কাছে আসিয়া মৃদুকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, আনন্দ, আবার কবে আসবে ভাই ? আমি নিকটেই ছিলাম, স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম সন্ন্যাসীর চোখের দীপ্তি ঝাপসা হইয়া আসিল, কিন্তু সে মুহুর্তে আত্মসম্বরণ করিয়া হাসিমুখে কহিল, আসবে। বইকি দিদি। যদি বেঁচে থাকি, মাঝে মাঝে উৎপাত করতে ॐांख्द्धि इदहै । ठेिक ऊ ? নিশ্চয় । কিন্তু আমরা ত শীঘ্রই চলে যাবো । যেখানে থাকবে যাবে সেখানে ? আদেশ করলে যাবো বইকি দিদি । রাজলক্ষ্মী কহিল, যেয়ে । তোমার ঠিকানা আমাকে লিখে দাও, আমি তোমাকে চিঠি লিখবো আনন্দ পকেট হইতে কাগজ পেন্সিল বাহির করিয়া ঠিকানা লিখিয়া হাতে দিল। সন্ন্যাসী হইয়াও আমাদের উভয়কে দুই হাত কপালে ঠেকাইয়া নমস্কার করিল, এবং রতন আসিয়া তাহার পদধূলি গ্ৰহণ করিলে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া ধীরে ধীয়ে গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া গেল।