পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীচৈতন্যমঙ্গল ভলে ত বল্লম্ভমিশ্র প। দ্য অর্থ্য দিয়া । ঘরেরে অনিল বর মঙ্গল করিয়া ॥ ৯৫ ৷ তবে সেই মহাপ্রভু ছোড়লাতে গিয়।। দণ্ডাইল পীঠোপরি উলসিত হঞt ॥ ৯৬ ৷ পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্র জিলিঞ বদন। তাহাতে মধুর হাসি- তামিয়া-মিলন ॥ ৯৭ ৷ তপত-কাঞ্চন যেন অঙ্গের কিরণ। সুমেরু পৰ্ব্বত যেন দেহের গঠন ॥ ৯৮ ৷৷ অঙ্গদ, কঙ্কণ ভুজে রতন-অঙ্গুরি। অরুণ-কমল করতল ঝলমলি ॥ ৯৯ ৷ সুদিব্য মালতীমাল দোলে গোরা-অঙ্গে । সুমেরু উপরে সেন গঙ্গার তরঙ্গে ॥ ১০০ ॥ মুকুটের নিকটে ললাট ভাল সাজে। কাম-কোটি কাতর –দেখিয়া রহে লাজে ॥১০১ শ্রবণে কুণ্ডল দোলে—কি দিব তুলন। দূর কৈল মানিনীর মানের বাসন ॥ ১০২ ৷ হেনমতে মহাপ্ৰভু ছোড়লাতে আছে। ষর উরথিতে তথা আইওগণ কাছে ॥১০৩ ৷ করিল বিচিত্ৰ লেশ–পরে দিব্যবস। হীথেতে উজ্জ্বল দীপ—অন্তর উল্লাস ॥ ১০৪ ৷ আইওগণ আগে–পাছে কষ্ঠার জননী। বর উরথিতে ধনী চলিল। আপুনি ॥ ১০৫ ৷ সশভ প্রদক্ষিণ করি সাত-দীপ-হণখে। চরণে ঢালিল দধি হরমিত-চিতে ॥ ১০৬ ৷ বর উরথিয় সম্ভে চলিল অtলয় । শুভক্ষণ হৈল সেই গোধুলি-সময় ॥ ১০৭ ৷ তবে সেই বল্লভ-আচাৰ্য্য দ্বিজবর। কস্থ্য আনিবারে অভিজ্ঞ করিল সত্বর ॥ ১০৮। সুগঠিত সিংহাসন-মাঝে রূপবতী । অঙ্গের ছটায় ঝলমল করে ক্ষিতি ॥ ১০৯ ॥ রতনপ্রদীপ জ্বলে তার চারি পাশে । বদন জিতল পূর্ণচন্দ্রপরকাশে ॥ ১১০ ৷ সৰ্ব্ব অঙ্গে অলঙ্কার রতল-কাঞ্চনে । অন্ধকার দূরে গেল তাহার কিরণে ॥১১১। প্রভু প্রদক্ষিণ করি ফিরে সাতবার। করজোড় করি শিরে করে নমস্কার ॥ ১১২ ॥ অন্তঃপট মুচাইল দেশহে দেহ দেখি। র্দোহে দোহা দেখি দোহার নাচয়ে স্কু? অাখি॥ চন্দ্র রোহিণী যেন একত্র মিলন। অষ্ঠে"ষ্ঠ্যে করয়ে দোহে কুসুমের রণ ॥ ১১৪ ॥ যেন হরপাৰ্ব্বতী—র্দেশহে হৈলা মেলা। ছামুনি নাড়িল দোহে আনন্দে বিভোলা ॥১১৫ চতুর্দিকে জয়ধ্বনি হরি হরি-নাদ । মাচয়ে সকল লোক হরি-ষ উন্মাদ ॥ ১১৬ ৷ ভবে সে কমলাপতি বিশ্বম্ভর পন্থ । একত্রে বসিল। লামপাশে করি বহু ॥১১৭ ৷ লজ্জ-নত্মমুখী সে বসিলা পহু কাছে। জামাত। পূজয়ে মিশ্র—যে বিধান আছে ॥১১৮ যার পাদপদ্মে ব্রহ্ম পাদ্য নিবেদিয়া । স্বষ্টির করত হুৈল প্রসাদ পাইয়া ॥১১৯ ৷ যে পদ হইতে গঙ্গ। আইলা মহীতলে। সৰ্ব্বলোক মুক্তিপদ পাইল সেকালে ॥ ১২০ ॥ যাহারে ত্রিপাদ-ভূমি উৎসর্গিল বলি। তাহার মস্তকে দিলা পাদপদ্ম-ধূলি ॥১২১ ৷ যে পদ জপিয়া যোগী হৈলা মহেশ্বর। যেই পদ আনন্দে কমলা-দেবী সেবে ॥ ১২২ ৷৷ তাহা হইতে বিষ্ণু যার অংশ অবতার। যার অংশ আদিবরাহ পৃথিবী উদ্ধার ॥১২৩। যার অংশ মৎস্য-কুৰ্ম্ম-বরাহ-লুসিংহাদি। হিরণ্যকশিপু-ৰামন-মেচ্ছ প্রভূতি ॥ ১২৪ ॥ পরশুরাম-ভূগুরাম-বৌদ্ধ-ব্যাসমুনি। অষ্টাদশপুরাণ যাহার মুখে শুনি ॥ ১২৫ ॥ এই শুন গুণ-গাথ। দশ অবতার। যুগে যুগে অবতার জীব-ভরাবার ॥ ১২৬ ॥ সে প্রভু হইলা বল্লভাচার্য্যের জামাতা। ত্ৰিভুবনে যাহার ভাগ্যের নাহি কথা ॥১২৭ ॥ গৌরাঙ্গের গুণগাথা অমৃতের খণ্ড। যে কথা শুনিলে ঘুচে অন্তর-পাষণ্ড ॥ ১২৮ ৷৷ }