পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। শিবপুর ভক্তগণসঙ্গে । Գծ. ওজন কচ্ছিলেন, তখন হলো না ! যখন রুক্মিণী তুলসী আর কৃষ্ণনাম এক দিকে লিখে দিলেন, তখন ঠিক ওজন হলো ।” এই বার ডাক্তার বাড়, বাধিয়া দিবেন। মেঝেতে বিছানা করা হইল । ঠাকুর হাসিতে হাসিতে মেঝেতে আসিয়া শয়ন করিতেছেন। স্বর করিয়া করিয়া বলিতেছেন--“রাইএর দশম দশ ! বৃন্দে বলে,আর কত বা হবে * ভক্তেরা চতুর্দিকে বসিয়া আছেন। ঠাকুর আবার গাহিতেছেন – ‘সব সখি মিলি বৈঠল--সরোবর-কূলে । ঠাকুরও হাসিতেছেন, ভক্তেরাও হাসিতেছেন। বাড়, বাধ হইয়া গেলে ঠাকুর বলিতেছেন— “আমার কলকাতার ডাক্তারদের তত বিশ্বাস হয় না। শস্তুর বিকার হয়েছে, ডাক্তার ( সৰ্ব্বাধিকারী ) বলে ও কিছু নয়, ও ঔষধের নেশা ? তার পরই শস্তুর দেহত্যাগ হলো । [ শস্তুমল্লিকের মৃত্যু 1877. চতুর্থ পরিচ্ছেদ । [ মহিমাচরণের প্রতি উপদেশ । ] সন্ধ্যার পর ঠাকুরবাড়ীতে আরতি হইয়া গেল । কিয়ৎক্ষণ পরে অধর কলিকাতা হইতে আসিলেন ও ঠাকুরকে ভুমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঘরে মহিমাচরণ, রাখাল, মাষ্টার । হাজরাও এক একবার আসিতেছেন। অধর । আপনি কেমন আছেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( মেহমাখা স্বরে ) । এই দ্যাখো । হাতে লেগে কি হয়েছে। (সহস্তে) আছি আর কেমন । অধর মেঝেতে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন । ঠাকুর তাহাকে বলিতেছেন,—“তুমি একবার এইটে হাত বুলিয়ে দাও তো । অধর ছোট খাটটির উত্তর প্রান্তে বসিয়া ঠাকুরের শ্ৰীচরণ সেব করিতেছেন। ঠাকুর মহিমাচরণের সহিত আবার কথা কহিতেছেন। [ "মূলকথা অহৈতুকী ভক্তি। স্বস্বরূপকে জানে।’ ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমার প্রতি ) ৷ অহৈতুকী ভক্তি –তুমি এইটা যদি সাধতে পার তাহলে বেশ হয়।