পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

し”8 শ্ৰী শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত। [ 1884, 3rd February. তবে তুমি ঘোর বেদান্তী! সাধুরা কত পড়তে এখানে । মহিমাচরণ প্রণব শব্দ কিরূপ তাই পড়িতেছেন—‘তৈলধারাম বিচ্ছিন্নম—দীর্ঘঘণ্টানিনাদবৎ’ ! আবার সমাধির লক্ষণ বলিতেছেন— উৰ্দ্ধপূর্ণমধঃপূর্ণং মধ্যপূর্ণং যদাত্মকম। সৰ্ব্বপূর্ণং স আত্মেতি সমাধিস্থস্য লক্ষণম্।” অধর, মহিমাচরণ ক্রমে প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন । । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । পরদিন রবিবার, ২১শে মাঘ ১২৯০ সাল ৷ মাঘ শুক্লা সপ্তমী । মধ্যাহ্নে সেবার পর ঠাকুর নিজাসনে বসিয়া আছেন। কলিকাতা হইতে রাম সুরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তেরা তাহার অস্থখ শুনিয়া চিন্তিত হইয়া আসিয়াছেন । মাষ্টারও কাছে বসিয়া আছেন। ঠাকুরের হাতে বাড়, বাধ, ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন। ৩রা ফেব্রুয়ারী ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দ । [ পূর্বকথা—উন্মাদ, জানবাজারে বাস। সরলতা ও সত্য কথা। ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) ৷ এমনি অবস্থায় মা রেখেছেন যে ঢাকা-ঢাকি করবার জো নাই । বালকের অবস্থা । “রাখাল আমার অবস্থা বোঝে না। পাছে কেউ দেখতে পায়, নিন্দ। করে, গায়ে কাপড় দিয়ে ভাঙ্গ হাত ঢেকে দেয়। মধু ডাক্তারকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে সব কথা বলছিলো। তখন চেচিয়ে বল্লাম— ‘কোথা গো মধুসূদন, দেখবে এসো, আমার হাত ভেঙ্গে গেছে ? “সেজ বাবু আর সেজ গিন্নি যে ঘরে শুতো, সেই ঘরেই আমিও শুতাম । তারা ঠিক ছেলেটর মতন আমায় যত্ন কৰ্ত্তো। তখন আমার উন্মাদ অবস্থা। সেজ বাবু বলতে, বাবা, তুমি আমাদের কোন কথাবার্তা শুনতে পাও ? আমি বলতাম, ‘পাই’ । “সেজ গিন্নি সেজ বাবুকু সন্দেহ করে বলেছিল, যদি কোথাও যাও—ভট চায্যি মশায় তোমার সঙ্গে যাবেন । এক জায়গায় গেলো— আমায় নীচে বসালে । তার পর আধ ঘণ্টা পরে এসে বল্লে, ‘চল বাবা, চল বাবা, গাড়ীতে উঠবে চল । সেজ গিন্নি জিজ্ঞাসা কল্পে, আমি ঠিক