পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> oWう শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 25th May. বিজয় ( সহাস্তো ) । সত্ত্বও চোর কি না । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে ) ৷ ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে পারে না, কিন্তু পথ দেখিয়ে দেয়। ভবনাথ । বাঃ ! কি চমৎকার কথা ! শ্রীরামকৃষ্ণ । হা, এ খুব উচু কথা । ভক্তেরা এই সকল কথা শুনিয়া আনন্দ করিতেছেন । _ _ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । বিজয় ও কেদার প্রভৃতির প্রতি কামিনীকাঞ্চন সম্বন্ধে উপদেশ শ্রীরামকৃষ্ণ । বন্ধনের কারণ কামিনীকাঞ্চন । কামিনীকাঞ্চনই ংসার। কামিনীকাঞ্চনই ঈশ্বরকে দেখতে দেয় না । এই বলিয়া ঠাকুর নিজের গামছা লইয়া সম্মুখ আবরণ করিলেন। আর বলিতেছেন—“আর আমায় তোমরা দেখতে পাচ্চ ?—এই আবরণ । এই কামিনীকাঞ্চন আবরণ গেলেই চিদানন্দ লাভ । “দ্যাখে না,—মে মাগ সমুখ ত্যাগ করেছে, সে ত জগৎ সমুখ ত্যাগ করেছে ! ঈশ্বর তার অতি নিকট । কেহ বসিয়া কেহ দাড়াইয়া নিঃশব্দে এই কথা শুনিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( কেদার, বিজয় প্রভৃতির প্রতি ) ৷ মাগ স্থখ যে ত্যাগ করেছে, সে জগৎমুখ ত্যাগ করেছে। —এই কামিনীকাঞ্চনই আবরণ " তোমাদের ত এত বড় বড় গোঁফ, তবু তোমরা ঐ-তেই রয়েছ ; বল ! মনে মনে বিবেচনা করে দেখ ।-— বিজয় । আজ্ঞা, তা সত্য বটে। কেদার অবাক হইয়া চুপ করিয়া আছেন । ঠাকুর বলিতেছেন,--- “সকলকেই দেখি, মেয়ে মানুষের বশ । কাপ্তেনের বাড়া গিছ লাম ;– তার বাড়ী হয়ে রামের বাড়ী যাব । তাই কাপ্তেনকে বল্লাম, ‘গাড়ীভাড়া দাও । কাপ্তেন তার মাগকে বয়ে । সে মাগও তেমি —‘ক্যা হুয়া,’ ‘ক্যা হুয়া করতে লাগল। শেষে কাপ্তেন বল্লে যে, ওরাই ( রামের ) দেবে। গীত: ভাগবত বেদান্ত সব ওর ভিতরে ! ( সকলের হাস্ত । )