পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। অধর নিরঞ্জন প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ১৬৩ ৷ শ্রীরামকৃষ্ণ । ই—সে করবে। মা ও ভাইরা আছে । অধর । আচ্ছা, নরেন্দ্রের পঞ্চাশ টাকায়ও চলে, এক শ টাকায়ও চলে। নরেন্দ্র এক শ টাকার জন্য চেষ্টা করবে কি না ? শ্রীরামকৃষ্ণ । বিষয়ীরা ধনের আদর করে,—মনে করে, এমন জিনিষ আর হবে না ! শম্ভূ বল্লে—‘এই সমস্ত বিষয় তার পাদপদ্মে দিয়ে যাব, এইটা ইচ্ছা । তিনি কি বিষয় চান ? তিনি চান—জ্ঞান, ভক্তি, বিবেক, বৈরাগ্য । “গয়না চুরির সময় সেজ বাবু বল্লে—“ও ঠাকুর । তুমি গয়ন রক্ষা করতে পাল্লে না ? হংসেশ্বরী কেমন রক্ষা করেছিল ! [ সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম। মথুরের তালুক লিখে দিবার পরামর্শ। ] “একখানা তালুক আমার নামে লিখে দেবে ( সেজ বাবু) বলেছিল। আমি কালীঘর থেকে শুনলাম । সেজ বাবু আর হৃদে একসঙ্গে পরামর্শ কচ্ছিল। আমি এসে সেজ বাবুকে বল্লাম—দ্যাখে। অমন বুদ্ধি কোরে না !—ওতে আমার ভারী হানি হবে । অধর। যা বলছেন, স্বষ্ট্রির পর থেকে ছট সাতটা হদ ওরূপ হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ । কেন, ত্যাগী আছে বই কি ? ঐশ্বৰ্ঘ্য ত্যাগ করলেই লোকে জানতে পারে। এমনি আছে--লোকে জানে না । পশ্চিমে নাই ? অধর । কলকাতার মধ্যে একটা জানি –দেবেন্দ্র চাকুর । শ্রীরামকৃষ্ণ । কি বলে !—-ও য। ভোগ করেছে, অমন কে করেছে !—যখন সেজ বাবুর সঙ্গে ওর বাড়ীতে গেলাম, দেখলাম, ছোট ছোট ছেলে অনেক—ডাক্তার এসেছে, ঔষধ লিখে দিচ্ছে । যার আট ছেলে আবার মেয়ে, সে ঈশ্বরচিন্তা করবে না তো কে করবে ? এত ঐশ্বৰ্য্য ভোগ করার পর যদি ঈশ্বরচিন্তা না করতো, লোকে বলত, ধিক । নিরঞ্জন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের ধার উনি সব শোধ করেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । রেখে দে ও সব কথা । আর জ্বালাস নে ! ক্ষমতা থেকেও যে বাপের ধার শোধ করে না, সে কি আর মানুষ ? “তবে সংসারীরা একবারে ডুবে থাকে, তাদের তুলনায় খুব ভাল— তাদের শিক্ষা হবে ।