পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মুখুয্যে ভ্রাতৃদ্বয় প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২০৩, “যদি বল ডুব দিলেও হাঙ্গর কুমীরের ভয় আছে—কাম ক্রোধাদির ভয় আছে —হলুদ মেখে ডুব দাও—তার কাছে আসতে পারবে না। বিবেক বৈরাগ্য হলুদ । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । পূৰ্ব্বকথা— শ্রীরামকৃষ্ণের পুরাণ, তন্ত্র ও বেদ মতের সাধনা ৷ [পঞ্চবটী,বেলতলা ও চাদনীর সাধন। তোতার কাছে সন্ন্যাসগ্রহণ ১৮৬৬। ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) । তিনি আমায় নানারূপ সাধন করিয়েছেন। প্রথম, পুরাণ মতের—তার পর তন্ত্র মতের, আবার বেদ মতের । প্রথমে পঞ্চবটীতে সাধন করতাম। তুলসী কানন হলো-—তার মধ্যে বসে ধ্যান করতাম । কখনও ব্যাকুল হয়ে, ‘ম ! মা !’ বলে ডাকতাম ——বা ‘রাম । রাম !” করতাম । “যখন ‘রাম রাম' কৰ্ত্তাম তখন হনুমানের ভাবে হয়তো একটা ল্যাজ পরে বসে আছি! উন্মাদের অবস্থা। সে সময়ে পূজা করতে করতে গরদের কাপড় পরে আনন্দ হতো–পূজারই আনন্দ ! “তন্ত্রমতের সাধনা বেলতলায়। তখন তুলসী গাছ—সজনের খাড় —এক মনে হতো ! “সে অবস্থায় শিবানীর উচ্ছিষ্ট—সমস্ত রাত্রি পড়ে আছে—তা সাপে খেলে কি কিসে খেলে তার ঠিক নাই—ঐ উচ্ছিষ্টই আহার । “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম। সকবধ বিষ্ণুমন্ত্রহ জগৎ —জমবে তাই আচমন । আমি সে মাটীতে পুকুর থেকে জল দিয়ে আচমন কল্লাম । “অবিদ্যাকে নাশ না করলে হবে না । আমি তাই বাঘ হতাম ! হয়ে অবিদ্যাকে খেয়ে ফেলতাম । “বেদমতে সাধনের সময় সন্ন্যাস নিলাম । তখন চাদনীতে পড়ে থাকতাম–হৃদুকে বলতাম,—“আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, চাদনীতে ভাত খাবো ! [সাধন কালে নানা দর্শন ও জগন্মাতার বেদান্ত, গীতা সম্বন্ধে উপদেশ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি ) । হত্যা দিয়ে পড়েছিলাম মাকে