পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8२ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত | [ 1884, 5th October. শ্রীরামকৃষ্ণ ( আবিষ্ট হইয়া) । আমি ভাল আছি। নীলকণ্ঠ ( কৃতাঞ্জলি হইয়া ) । আমায়ও ভাল করুন । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে ) ৷ তুমি ত ভাল আছ । ‘ক’য়ে আকার ‘ক’, আবার আকার দিয়ে কি হবে ? ‘কা’ এর উপর আবার আকার দিলে সেই ‘কাই থাকে। ( সকলের হাস্ত ) নীলকণ্ঠ । আজ্ঞা, এই সংসারে পড়ে রয়েছি ! শ্রীরামকৃষ্ণ (সাহাস্তে)। তোমায় সংসারে রেখেছেন পাঁচজনের জন্য । “অষ্টপাশ । তা সব যায় না । দুএকটা পাশ তিনি রেখে দেন— লোক শিক্ষার জন্য । তুমি এই যাত্রাট করেছে, তোমার ভক্তি দেখে কত লোকের উপকার হচ্ছে। আর তুমি সব ছেড়ে দিলে এর ( যাত্রাওয়ালার ) কোথায় যাবেন । “তিনি তোমার দ্বারা কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। কাজ শেষ হলে তুমি আর ফিরবে না । গৃহিণী সমস্ত সংসারের কাজ সেরে,-—সকলকে খাইয়ে দাইয়ে—দাসদাসীদের পর্য্যন্ত খাইয়ে দাইয়ে—নাইতে যায় ;— তখন আর ডাকাডাকি করলেও ফিরে না । নীলকণ্ঠ । আমায় আশীর্ববাদ করুন। শ্রীরামকৃষ্ণ । কৃষ্ণের বিরহে যশোদা উন্মাদিনী,—শ্ৰীমতীর কাছে গিয়েছেন । শ্রীমতী তখন ধ্যান কচ্ছিলেন । তিনি আবিষ্ট হয়ে যশোদাকে বল্লেন—“আমি সেই মূল প্রকৃতি আদ্যাশক্তি ! তুমি আমার কাছে বর নাও । যশোদা বল্লেন, আর কি বর দেবে ! এই বলে, যেন কায়মনোবাক্যে তার চিন্তা, তার সেবা করতে পারি। কৰ্ণেতে যেন তার নাম গুণ গান শুনতে পাই, হাতে যেন তার ও তার ভক্তের সেবা করতে পারি,—চক্ষে যেন তার রূপ, তার ভক্ত, দর্শন করতে পারি। “তোমার যেকালে তার নাম করতে চক্ষু জলে ভেসে যায়, সেকালে আর তোমার ভাবনা কি ?—তার উপর তোমার ভালবাসা এসেছে । “অনেক জানার নাম অজ্ঞান,– এক জানার নাম জ্ঞান—অর্থাৎ, এক ঈশ্বর সত্য, সৰ্ব্বভুতে রয়েছেন। র্তার সঙ্গে আলাপের নাম