পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ২৭৭ হ’ল । তা হলে আর বেশী সাধন ভজন কত্তে হবে না । প্রথম, আমি কে—তার পর, ওরা কে । ছোকরার অনেকেই অন্তরঙ্গ । “যার অন্তবঙ্গ, তাদের মুক্তি হবে না । বায়ুকোণে আর একবার (আমার) দেহ হবে । -- “ছোকরীদের দেখে আমার প্রাণ শীতল হক্স ! আর যারা ছেলে করেছে, মামল৷ মোকদম করে বেড়াচ্চে —কামিনী কাঞ্চন নিয়ে রয়েছে—তাদের দেখলে কেমন করে আনন্দ হবে ? শুদ্ধ-আত্মা না দেখলে কেমন করে থাকি ! মহিমাচরণ শাস্ত্র হইতে শ্লোক আবৃত্তি করিয়া শুনাইতেছেন,—আর তন্ত্রোক্ত ভূচরী খেচর শাস্তব প্রভৃতি নানা মুদ্রার কথা বলিতেছেন। [ ঠাকুরের পাচপ্রকার সমাধি –ষট্‌চক্রভেদ—যোগতত্ত্ব—কুণ্ডলিনী । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । আচ্ছা, আমার আত্ম সমাধির পর মহাকাশে পাখীর মত উড়ে বেড়ায়, এই রকম কেউ কেউ বলে । “হৃষীকেশ সাধু এসেছিল । সে বল্লে যে, সমাধি পাচ প্রকার—ত তোমার সবই হয় দেখছি। পিপীলিকাবং, মীনবৎ, কপিবৎ, পক্ষিবৎ, তির্যাগ বৎ । “কখনও বায়ু উঠে পিপড়ের মত শিড়, শিড় করে –কখনও সমাধি অবস্থায় ভাব সমুদ্রের ভিতর আত্মা-মীন আনন্দে খেলা করে ! “কখনও পাশ ফিরে রয়েছি, মহাবায়ু বানরের ন্যায় আমায় ঠেলে--আমোদ করে । আমি চুপ করে থাকি। সেই বায়ু হঠাৎ বানরের দ্যায় লাফ দিয়ে সহস্রারে উঠে যায় ! তাই ত তিড়িং করে লাফিয়ে উঠি ! “আবার কখনও পাখীর মত এ ডাল থেকে ও ডাল, ও ডাল থেকে এ ডাল,—মহাবায়ু উঠতে থাকে ! যে ডালে বসে, সে স্থান আগুনের মত বোধ হয়। হয়ত মূলাধার থেকে স্বাধিষ্ঠান, স্বাধিষ্ঠান থেকে হৃদয়, এইরূপ ক্রমে মাথায় উঠে ! “কখনও বা মহাবায়ু তিৰ্য্যক গতিতে চলে—এ কে বেঁকে । এরূপ চলে চলে শেষে মাথায় এলে সমাধি হয় ।