পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

’’ দক্ষিণেশ্বরে মাষ্টার, গঙ্গাধর প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ২৯১ আজ সোমবার। ঠাকুর অনুস্থ রহিয়াছেন। রাত প্রায় আটট হইয়াছে । ঠাকুর ছোট খাটটতে পেছন ফিরিয়া দক্ষিণ দিকে শিয়র করিয়া শুইয়া আছেন গঙ্গাধর সন্ধ্যার পর কলিকাতা হইতে মাস্টারের সহিত আসিয়াছেন । তিনি তাহার চরণপ্রান্তে বসিয়া আছেন। ঠাকুর মাষ্টারের সহিত কথা কহিতেছেন । - - শ্রীরামকৃষ্ণ । দুটা ছেলে এসেছিল। শঙ্কর ঘোষের নীতির ছেলে ( স্থবোধ ) আর একটী তাদের পাড়ার ছেলে ( ক্ষীরোদ ) । বেশ ছেলে দুট । তাদের বল্লুম, আমার এখন অসুখ, তোমার কাছে গিয়ে উপদেশ নিতে । তুমি একটু যত্ন কোরে । মাস্টার । আজ্ঞা হুঁ, আমাদের পাড়ায় তাদের বাড়ী । [ অসুখের সূত্রপাত। ভগবান ডাক্তার। নিতাই ডাক্তার। ] শ্রীরামকৃষ্ণ । সে দিন আবার গায়ে ঘাম দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে গিছলো । এ অস্থখটা কি হ’ল ! ** মাষ্টার । আজ্ঞা, আমরা একবার ভগবান রুদ্রকে দেখাব ঠিক করেছি। এম.ডি পাশ করা । খুব ভাল ডাক্তার । শ্রীরামকৃষ্ণ । কত নেবে ? মাষ্টার । অন্য যায়গা কুড়ি পচিশ টাকা নিতো । শ্রীরামকৃষ্ণ । তবে থাক । মাষ্টার । আজ্ঞা, আমরা হদ চার পাঁচ টাকা দেবো । ক্রীরামকৃষ্ণ । আচ্ছা, এই রকম করে যদি একবার বলে, ‘দয়া করে তাকে দেখবেন চলুন। এখানকার কথা কিছু শুনে নাই ? মাস্টার । বোধ হয় শুনেছে । এক রকম কিছু নেবে না বলেছে, তবে আমরা দেবো ; কেন না, তা হলে আবার আসবে। শ্রীরামকৃষ্ণ । নিতাই ( ডাক্তারকে ) আনো তো সে বরং ভাল। আর ডাক্তাররা এসেই বা কি করছে ? কেবল টিপে বাড়িয়ে দেয় । রাত নয়টা । ঠাকুর একটু সুজির পায়েস খাইতে বসিলেন । খাইতে কোন কষ্ট হইল না। তাই আনন্দ করিতে করিতে মাষ্টারকে বলিতেছেন,—‘একটু খেতে পারলাম, মনটায় বেশ আনন্দ হলো ।