পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ළුව8 · শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1886, 17th April. গান।--শামনামে প্রাণ পেয়ে ইতি উতি চায়, সম্মুখে তমালবৃক্ষ দেখিবারে পায় । “গান শুনে বলে—ও সব গান কেন ? প্রেম ট্রেম ভাল লাগে না ! তা ছাড়া, মাগ ছেলে নিয়ে থাকি, এ সব গান এখানে কেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি ) ৷ ভয় দেখেছ ! চতুর্থভাগ, দ্বাত্রিংশৎখণ্ডে, নরেন্দ্রের শিক্ষাকথা সমাপ্ত। ജമ്മജ চতুশ্ৰ ভাণ—ত্ৰজ্জঙ্কিংশ~ =খণ্ড প্রথম পরিচ্ছেদ । [ কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ] শ্রীরামকৃষ্ণ কাশীপুর বাগানে ভক্তসঙ্গে বাস করিতেছেন। শরীর খুব অসুস্থ–কিন্তু ভক্তদের মঙ্গলের জন্য সর্বদাই ব্যাকুল। আজি শনিবার, ৫ই বৈশাখ, চৈত্র শুক্ল চতুর্দশী। পূর্ণিমাও পড়িয়াছে। কয়দিন ধরিয়া প্রায় প্রত্যহ নরেন্দ্র দক্ষিণেশ্বরে যাইতেছেন— পঞ্চবটীতে ঈশ্বর-চিন্তা করেন—সাধনা করেন। আজ সন্ধ্যার সময় ফিরিলেন । সঙ্গে শ্ৰীযুক্ত তারক ও কালী । রাত আটটা হইয়াছে । জ্যোৎ মা ও দক্ষিণে হাওয়া বাগানটীকে সুন্দর করিয়াছে। ভক্তেরা অনেকে নিচের ঘরে ধ্যান করিতেছেন। নরেন্দ্র মণিকে বলিতেছেন—-‘এরা ছাড়াচ্ছে ( অর্থাৎ ধ্যান করিতে করিতে উপাধি বর্জন করিতেছে) । কিয়ৎক্ষণ পরে মণি উপরের হলঘরে ঠাকুরের কাছে বসিয়া আছেন । ঠাকুর তাহাকে ডাবর ও গামছা পরিস্কার করিয়া আনিতে আজ্ঞা করিলেন । তিনি পশ্চিমের পুষ্করিণীর ঘাট হইতে চাদের আলোতে ঐগুলি ধুইয়া আনিলেন। পরদিন সকালে ঠাকুর মণিকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তিনি গঙ্গাস্বানের পর ঠাকুরকে দর্শন করিয়া হলঘরের ছাদে গিয়াছিলেন। পরিবার পুত্ৰশোকে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়াছেন। ঠাকুর তাহাকে বাগানে