পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে হবে, এত তপস্তা করতে হবে, তবে ভগবানকে পাওয়া যাবে। এ সাধক নিজে চেষ্টা করে ভগবানকে ধরতে যায়। । “বিড়ালের ছা কিন্তু নিজে মাকে ধরতে পারে না । সে পড়ে কেবল মিউ মউ করে ডাকে। মা যা করে। মা কখনও বিছানার উপর, কখনও ছাদের উপর কাঠের আড়ালে, রেখে দিচ্ছে ; মা তাকে মুখে করে এখানে ওখানে লয়ে রাখে, সে নিজে মাকে ধরতে জানে না। সেইরূপ কোন কোন সাধক নিজে হিসাব করে কোন সাধন করতে পারে । না,-এত জপ করবে, এত ধ্যান করবো ইত্যাদি। সে কেবল ব্যাকুল । হয়ে কেঁদে কেঁদে তাকে ডাকে। তিনি তার কান্না শুনে আর থাকতে পারেন না, এসে দেখা দেন ।” m দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বেলা হইয়াছে, গৃহস্বামী অন্নব্যঞ্জন করাইয়া ঠাকুরকে খাওয়াইবেন। তাই বড় ব্যস্ত। তিনি ভিতর বাড়িতে গিয়াছেন, খাবার উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধান করিতেছেন। বেলা হইয়াছে, তাই ঠাকুর ব্যস্ত হইয়াছেন। তিনি ঘরের ভিতর একটু পাদচারণ করিতেছেন । কিন্তু সহাস্তবদন । কেশব কীৰ্ত্তনিয়ার সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা কহিতেছেন । - [ ঈশ্বর কৰ্ত্তা—অথচ কৰ্ম্মের জন্য জীবের দায়িত্ব— responsibility কেশব কীৰ্ত্তনিয়া-ত তিনিই করণ কারণ। ছুৰ্য্যোধন বলেছিলেন, ‘স্বয়া হৃষীকেশ হৃদিস্থিতেন যথা নিযুক্তোইম্মি তথা করোমি । । r