পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯০ খ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ১৮৮৩, ২৭শে ডিসেম্বর “তত্ত্বজ্ঞানের সময় সোহহং হতে পারে, কিন্তু সে দূরের কথা “ । ঐশ–আজ্ঞে হা, দাস-ভাবে মানুষ নিশ্চিন্ত । প্রভুর উপর সকলই নির্ভর। কুকুর ভারি প্রভুভক্ত, তাই প্রভুর উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্ত । * [ যিনি সাকার তিনিই নিরাকার—নাম মাহাত্ম্য ] | শ্রীরামকৃষ্ণ–আচ্ছ, তোমার সাকার না নিরাকার ভাল লাগে ? কি জানি যিনিই নিরাকার, তিনিই সাকার । ভক্তের চক্ষে তিনি সাকাররূপে দর্শন দেন। যেমন অনন্ত জলরাশি মহাসমুদ্র ! কুল কিনারা নাই, সেই জলের কোন কোন স্থানে বরফ হয়েছে ; বেশী ঠাণ্ডাতে বরফ হয় । ঠিক সেইরূপ ভক্তি-হিমে সাকার রূপ দৰ্শন হয়। আবার যেমন সূৰ্য্য উঠলে বরফ গলে যায়—যেমন জল তেমনি জল, সেইরূপ ঠিক জ্ঞান-পথ-বিচার-পথ – দিয়ে গেলে সাকাররূপ আর দেখা যায় না ; আবার সব নিরাকার । জ্ঞানসূৰ্য্য উদয় হওয়াতে সাকার বরফ গলে গেল । " “কিন্তু দেখ, যারই নিরাকার, তারই সাকার ” সন্ধ্যা হয় হয়, ঠাকুর গাত্ৰোখান করিয়াছেন ; এইবার দক্ষিণেশ্বরে প্রত্যাবর্তন করবেন। বৈঠকখানা ঘরের দক্ষিণে যে রক আছে তাহারই উপর দাড়াইয়া ঠাকুর ঈশানের সহিত কথা কহিতেছেন। সেইখানে একজন বলিতেছেন যে, ভগবানের নাম নিলেই যে সকল সময় ফল হবে, এমন ত দেখা যায় না | ঈশান বলিলেন, সে কি! অশ্বথের বীজ অতি ক্ষুদ্র বটে, কিন্তু উহারই ভিতর বড় বড় গাছ আছে ! দেরিতে সে গাছ দেখা যায় । শ্রীরামকৃষ্ণ—ই হা, দেরিতে ফল হয় ।