পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নরেন্দ্র ত্ৰৈলোক্য প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ৯ হরিই সেবক,—এই ভাবটি পূর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ | প্রথমে নেতি নেতি । করে, হরিই সত্য আর সব মিথ্যা বলে বোধ হয়। তারপরে সেই । ছাখে যে, হরিই এই সব হয়েছেন—ঈশ্বরই মায়া, জীব, জগৎ এই সব । হয়েছেন। অনুলোম হয়ে তার পর বিলোম। এইটি পুরাণের মত। যেমন একটি বেলের ভিতর শাস, বীজ আর খোলা আছে। খোল বীজ ফেলে দিলে শাসটুকু পাওয়া যায়, কিন্তু বেলটি কত ওজনে ছিল - জানতে গেলে, খোলা বীজ বাদ দিলে চলবে না। তাই জীব জগৎকে । ছেড়ে প্রথমে সচ্চিদানন্দে পৌছাতে হয় ; তারপর সচ্চিদানন্দকে লাভ ক'রে দ্যাখে যে তিনিই এই সব জীব, জগৎ হয়েছেন । শাস যে বস্তুর, বীজ ও খোলা সেই বস্তু থেকেই হয়েছে,—যেমন ঘোলেরি মাখন, মাখনেরি ঘোল । இ. - “তবে কেউ বলতে পারে, সচ্চিদানন্দ এত শক্ত হ’ল কেমন করে— । এই জগৎ টিপলে খুব কঠিন বোধ হয় । তার উত্তর এই যে, শোণিত শুক্র এত তরল জিনিস,–কিন্তু তাই থেকে এত বড় জীব—মানুষ । তৈয়ারী হচ্ছে ! তা হ'তে সবই হতে পারে । “একবার অখণ্ড সচ্চিদানন্দে পৌছে তারপর নেমে এসে এই সব দ্যাখা । - # সংসার ঈশ্বর ছাড়া নয়—-যোগী ও ভক্তের প্রভেদ ] “তিনিই সব হয়েছেন । সংসার কিছু তিনি ছাড়া নয়। গুরুর কাছে বেদ পড়ে রামচন্দ্রের বৈরাগ্য হলো । তিনি বললেন, সংসার । যদি স্বপ্লবৎ তবে সংসার ত্যাগ করাই ভাল। দশরথের বড় ভয় হলো । । তিনি রামকে বুঝাতে গুরু বশিষ্ঠকে পাঠিয়ে দিলেন। বশিষ্ঠ বললেন, রাম, তুমি সংসার ত্যাগ করবে কেন বলছো ? তুমি আমায় বুঝিয়ে ৩য়—৭ L.