পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে ১২৭ ৷ চাঁদনি হইতে প্রাঙ্গণে আসিয়া আবার বলিতেছেন, একটা গানে । আছে,— ‘জ্ঞানাগ্নি জেলে ঘরে, ব্রহ্মময়ীর রূপ দেখ না ’ । . . . . মন্দিরে আসিয়া ঠাকুর ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন । মার । শ্ৰীপাদপদ্মে জবা বিহু, ত্রিনয়নী ভক্তদের কতই স্নেহ চক্ষে দেখিতেছেন । হস্তে বরাভয় । মা বারাণসী চেলী ও বিবিধ অলঙ্কার পরিয়াছেন। । শ্ৰীমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া ভূধরের দাদা বলিতেছেন, “শুনেছি নবীন ভাস্করের নিৰ্ম্মাণ।” ঠাকুর বলিতেছেন, “তা জানি না—জানি ইনি চিন্ময়ী !” - ভক্তসঙ্গে ঠাকুর নাটমন্দিরে বেড়াইতে বেড়াইতে দক্ষিণাস্ত হইয়া আসিতেছেন ! বলিদানের স্থান দেখিয়া পণ্ডিত বলিতেছেন, “ম পাঠা । কাটা দেখতে পান না।” ( সকলের হাস্য )। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ঠাকুর এইবার ফিরিতেছেন। বাবুরামকে বলিলেন, আরে আয় । মাষ্টার সঙ্গে আসিলেন । সন্ধ্যা হইয়াছে। ঘরের পশ্চিমের গোলবারান্দায় আসিয়া ঠাকুর বসিয়াছেন। ভাবস্থ,—অৰ্দ্ধ বাহ । কাছে বাবুরাম ও মাষ্টার । আজকাল ঠাকুরের সেবার কষ্ট হইয়াছে রাখাল আজকাল থাকেন। না । কেহ কেহ আছেন,–কিন্তু তাহার ঠাকুরের সকল অবস্থাতে ছুতে পারেন না। ঠাকুর সঙ্কেত ক’রে বাবুরামকে বলিতেছেন—“হ–ছু— ন,—রা–ছু ; এ অবস্থায় আর কাকেও ছুতে দিতে পারি না। তুই _থাক্ ত হ’লে ভাল হয় ।” . -