পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিশাদির সহিত ঈশ্বরীয় কথা কহিতেছেন। গিরিশ বলিতেছেন, । মহাশয়, কি রকম দেখলেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখলাম সাক্ষাৎ তিনিই সব হয়েছেন । যারা সেজেছে, তাদের দেখলাম, সাক্ষাৎ আনন্দময়ী মা ! যারা গোলকে রাখাল সেজেছে তাদের দেখলাম সাক্ষাৎ নারায়ণ। তিনিই সব । হয়েছেন। তবে ঠিক ঈশ্বর দর্শন হচ্ছে কি না তার লক্ষণ আছে। একটি লক্ষণ আনন্দ । সঙ্কোচ থাকে না । যেমন সমুদ্ৰ—উপরে হিল্লোল, কল্লোল—নীচে গভীর জল । যার ভগবান দর্শন হয়েছে সে কখনও পাগলের ন্যায়, কখনও পিশাচের ন্যায়—শুচি অশুচি ভেদ জ্ঞান নেই । কখনও বা জড়ের ন্যায় ; কেননা অন্তরে বাহিরে ঈশ্বরকে দর্শন ক’রে অবাক হ’য়ে থাকে। কখন বালকের ন্যায়। আট নাই, বালক যেমন কাপড় বগলে ক’রে বেড়ায় । এই অবস্থায় কখন বাল্যভাব, কখন পেীগণ্ড ভাব-—ফষ্টি নাষ্টি করে, কখন যুবার ভাব—যখন কৰ্ম্ম করে, লোকশিক্ষা দেয়, তখন সিংহতুল্য। “জীবের অহঙ্কার আছে বলে ঈশ্বরকে দেখতে পায় না । মেঘ উঠলে আর সূৰ্য্য দেখা যায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে না ব'লে কি সূৰ্য্য নাই ? সূৰ্য্য ঠিক আছে । “তবে ‘বালকের আমি এতে দোষ নাই, বরং উপকার আছে । শাক খেলে অসুখ হয়, কিন্তু ঠিঞ্চে শাক খেলে উপকার হয় । হিঞ্চে শাক শাকের মধ্যে নয় । মিছরি মিষ্টির মধ্যে নয়। অন্য মিষ্টিতে অসুখ করে, কিন্তু মিছরিতে কফ-দোষ করে না । - “তাই কেশব সেনকে বলেছিলাম, আর বেশী তোমায় বললে দলটল থাকবে না! কেশব ভয় পেয়ে গেল। আমি তখন বললাম, বালকের আমি দাস আমি এতে দোষ নাই । . . . . . 曹