পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে ভক্তসঙ্গে ঐরামকৃষ্ণ ذود “আবার কেউ মালা জপ করছে ; তার ভিতর থেকেই মাছ দর করে । জপ করতে করতে হয় ত অঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়,— ঐ মাছটা ! যত হিসাব সেই সময়ে ! ( সকলের হাস্য )। “কেউ হয়ত গঙ্গাস্বান করতে এসেছে। সে সময় কোথা ভগবান চিন্তা করবে, গল্প করতে বসে গেল ! যত রাজ্যের গল্প ! তোর ছেলের বিয়ে হ’ল, কি গয়না দিলে ? ‘অমুকের বড় ব্যামো’, ‘অমুক শ্বশুর বাড়ি থেকে এসেছে কিনা অমুক কনে দেখতে গিছলো, তা দেওয়া থোওয়া সাধ আহলাদ খুব করবে’, ‘হরিশ আমার বড় হাওটো, আমায় ছেড়ে একদণ্ড থাকতে পারে না, এতো দিন আসতে পারি নি মা—অমুকের মেয়ের পাকা দেখা, বড় ব্যস্ত ছিলাম ।’ “দেখ দেখি, কোথায় গঙ্গাস্বানে এসেছে ! যত সংসারের কথা !” ঠাকুর ছোট নরেনকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন । দেখিতে দেখিতে সমাধিস্থ হইলেন ! শুদ্ধাত্মা ভক্তের ভিতর ঠাকুর কি নারায়ণ দর্শন করিতেছেন । ভক্তেরা একদৃষ্টে সেই সমাধি-চিত্র দেখিতেছেন । এত হাসি খুশি হইতেছিল, এইবার সকলেই নিঃশব্দ, ঘরে যেন কোন লোক নাই । ঠাকুরের শরীর নিস্পন্দ, চক্ষু স্থির, হাত জোড় করিয়া চিত্রাপিতের ন্যায় বসিয়া আছেন ! কিয়ৎপরে সমাধি ভঙ্গ হইল । ঠাকুরের বায়ু স্থির হইয়া গিয়াছিল, এইবার দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন । ক্রমে বহির্জগতে মন আসিতেছে । ভক্তদের দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছেন । এখনও ভাবস্থ হইয়া রহিয়াছেন । এইবার প্রত্যেক ভক্তকে সম্বোধন করিয়া কাহার কি হইবে, ও কাহার কিরূপ অবস্থা কিছু কিছু রলিতেছেন। ( ছোট নরেনের প্রতি ) “তোকে দেখবার জন্য ব্যাকুল ।