পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরের বাড়িতে শ্রীরামমকৃষ্ণ । ও পশ্চিম পার্শ্বে কয়েকখানি চেয়ার। বিদ্যাসাগর দু-একটি বন্ধুর সহিত কথা কহিতেছিলেন । ঠাকুর প্রবেশ করিলে পর বিদ্যাসাগর দণ্ডায়মান হইয়া অভ্যর্থনা করিলেন। ঠাকুর পশ্চিমাস্ত, টেবিলের পূর্বপাশ্বে দাড়াইয়া আছেন । বামহস্ত টেবিলের উপর। পশ্চাতে বেঞ্চখানি। বিদ্যাসাগরকে পূর্বপরিচিতের ন্যায় একদৃষ্টে দেখিতেছেন ও ভাবে হাসিতেছেন! বিদ্যাসাগরের বয়স আন্দাজ ৬২/৬৩ । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ অপেক্ষা ১৬১৭ বৎসর বড় হইবেন । পরনে থান কাপড়, পায়ে চট জুতা গায়ে একটি হাত কাট ফ্রানেলের জামা । মাথার চতুষ্পাশ্ব উড়িষ্যাবাসীদের মত কামানো ! কথা কহিবার সময় দাতগুলি উজ্জল দেখিতে পাওয়া যায়,—দাতগুলি সমস্ত বাধন। মাথাটি খুব বড়। উন্নত ললাট ও একটু খৰ্ব্বাকৃতি। ব্রাহ্মণ—তাই গলায় উপবীত । বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ। প্রথম–বিদ্যাহরাগ। একদিন মাষ্টারের কাছে এই বলতে বলতে সত্য সত্য কেঁদেছিলেন, “আমার তো খুব ইচ্ছা ছিল যে পড়াশুনা করি, কিন্তু কৈ তা হলো ! সংসারে পড়ে কিছুই সময় পেলাম না। দ্বিতীয়—দয়া সৰ্ব্বজীবে। বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর। বাছুরের মায়ের দুধ পায় না দেখিয়া নিজে কয়েক বৎসর ধরিয়া দুধ খাওয়া বন্ধ করিয়াছিলেন, শেষে শরীর অতিশয় অসুস্থ হওয়াতে অনেকদিন পরে আবার ধরিয়াছিলেন। গাড়ীতে চড়িতেন না—ঘোড়া নিজের কষ্ট বলিতে পারে না। একদিন দেখিলেন একটি মুটে কলেরা রোগে আক্রান্ত হইয়া রাস্তায় পড়িয়া আছে, কাছে ঝাকাট। পড়িয়া আছে । দেখিয়া নিজে কোলে করিয়া তাহাকে বাড়ীতে আনিলেন ও সেবা করিতে লাগিলেন। তৃতীয়-স্বাধীনতাপ্রিয়তা। কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে একমত না হওয়াতে,সংস্কৃত কলেজের প্রধান অধ্যাক্ষর .