পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ১৯৭ দেখতে পেতাম, সত্য সত্য একজন কাছে শুল হাতে ক'রে বসে আছে। ভয় দেখাচ্ছে,—যদি ঈশ্বরের পাদপদ্মে মন না রাখি শূলের বাড়ি আমায় মারবে । ঠিক মন না হলে বুক যাবে! নিত্য-লীলাযোগ-পুরুষ-প্রকৃতি-বিবেক যোগ ] - “কখনও মা এমন অবস্থা ক’রে দিতেন যে, নিত্য থেকে মন লীলায় । নেমে আসতে । আবার কখনও লীলা থেকে নিত্যে মন উঠে যেতে । “যখন লীলায় মন নেমে আসত কখনও সীতারামকে রাতদিন চিন্তা করতাম। আর সীতারামের রূপ সৰ্ব্বদা দর্শন হতো,—রামলালাকে ( রামের অষ্টধাতু নিৰ্ম্মিত ছোট বিগ্রহ ) নিয়ে সৰ্ব্বদা বেড়াতাম কখনও নাওয়ালম, কখনও খাওয়াতাম। আবার কখনও রাধাকৃষ্ণের ভাবে থাকতাম। ঐ রূপ সৰ্ব্বদা দর্শন হতো। আবার কখনও গৌরাঙ্গের ভাবে থাকতাম, দুই ভাবের মিলন-পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবের মিলন। এ অবস্থায় সৰ্ব্বদাই গৌরাঙ্গের রূপ দৰ্শন হতো। আবার অবস্থা বদলে গেল –তখন লীলা ত্যাগ করে নিত্যতে মন উঠে গেল! সজনে । তুলসী সব এক বোধ হতে লাগলো। ঈশ্বরীয় রূপ আর ভাল লাগল না। বললাম, কিন্তু তোমাদের বিচ্ছেদ আছে।’ তখন তাদের তলায় রাখলাম। ঘরে যত ঈশ্বরীয় পট বা ছবি ছিল সব খুলে । ফেললাম। কেবল সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ সেই আদি পুরুষকে চিন্তা করতে লাগলাম। নিজে দাসী ভাবে রইলুম,—পুরুষের দাসী । “আমি সব রকম সাধন করেছি। সাধন তিন প্রকার—সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক । সাত্ত্বিক সাধনায় তাকে ব্যাকুল হয়ে ডাকে বা তার শুদ্ধ নামটি নিয়ে থাকে । আর কোন ফলাকাঙ্ক্ষা নাই। রাজসিক স্বাধনে নানা রকম প্রক্রিয়া,—এতবার পুরশ্চরণ করতে হবে, এত