পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ১৯৯ কোথায় বলতে পারেন ? কোন উত্তর নাই। এ ব্যক্তি তখন ছিপ । হাতে ক'রে টান মারবার উদ্যোগ করছে। পথিক বার বার উচ্চৈঃস্বরে । বলতে লাগল, মহাশয়, অমুক বাড়যোদের বাড়ি কোথায় বলতে । পারেন ? সে ব্যক্তির হুস নাই । তার হাত কঁপিছে, কেবল ফাতনার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলে গেল। সে অনেক দুর চলে গেছে, এমন সময় ফাতনাট ডুবে গেল, আর ও ব্যক্তি টান মেরে মাছটাকে আড়ায় তুললে। তখন গামছা দিয়ে মুখ পুছে, চীৎকার ক'রে পথিককে ডাক্ছে,—ওহে—শোনো—শোনো ! পথিক ফিরতে চায় না, অনেক ডাকাডাকির পর ফিরল। এসে বলছে, কেন মহাশয় আবার ডাক্‌ছ কেন ? তখন সে বললে, তুমি আমায় কি বলছিলে ? পথিক বললে, তখন অতবার করে জিজ্ঞাসা করলুম,—আর এখন বলছে কি বললে ! সে বললে, তখন যে ফাতন ডুবছিল, তাই আমি কিছুই শুনতে পাই নাই । “ধ্যানে এইরূপ একাগ্রত হয়, অন্য কিছু দেখা যায় না,—শোনাও যায় না । স্পশবোধ পৰ্য্যন্ত হয় না। সাপ গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়, জানতে পারে না। যে ধ্যান করে সেও বুঝতে পারে না,— সাপটাও জানতে পারে না । “গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন বহিমুখ থাকে না—যেন বা’র বাড়িতে কপাট পড়লো। ইন্দ্রিয়ের পাচটি বিষয় ! রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—বাহিরে পড়ে থাকবে। “ধ্যানের সময় প্রথম প্রথম ইন্দ্রিয়ের বিষয়সকল সামনে আসে— গভীর ধ্যানে সে সকল আর আসে না,—বাহিরে পড়ে থাকে। ধ্যান করতে করতে আমার কত কি দর্শন হতো। প্রত্যক্ষ দেখলাম,— সামনে টাকার কঁাড়ি, শাল, একথালা সন্দেশ, ছুটে মেয়ে, তাদের ফাদী