পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8२ o ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ৯ a “আর এক ধাপ উঠলেই ঈশ্বর-ব্রহ্মজ্ঞান ! এ অবস্থায় ঠিক বোধ হচ্চে—ঠিক দেখছি—তিনিই সব হয়েছেন । ত্যজ্য গ্রন্থ : , কারু উপর রাগ করবার যে থাকে না । “গাড়ি করে যাচ্চি—বারান্দার উপর দাড়িয়ে রয়েছে aে, দুই বেখা ! দেখলাম সাক্ষাৎ ভগবতী-দেখে প্রণাম করলাম! “যখন এই অবস্থা প্রথম হ’ল, তখন মা কালীকে পূজা করতে বা ভোগ দিতে আর পারলাম না। হলধারী আর হৃদে বললে, খাজাঞ্জী বলেছে, ভট্‌চাজ্জি ভোগ দিবেন না তো কি করবেন ? আমি কুবাক্য বলেছে শুনে কেবল হাসতে লাগলাম, একটুও রাগ হ’ল না । “এই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ ক’রে তারপর লীলা আস্বাদন ক'রে বেড়াও । সাধু একটি সহরে এসে রং দেখে বেড়াচ্চে । এমন সময়ে তার এক আলাপী সাধুর সঙ্গে দেখা হ'ল। সে বললে, ‘তুমি যে ঘুরে ঘুরে আমোদ ক’রে বেড়াচ্চো, তল্পিতল্পা কই ? সেগুলি তো চুরি করে লয়ে যায় নাই ? প্রথম সাধু বললে, 'না মহারাজ, আগে বাসা পাকুড়ে গাটুরি-ওটুরি ঠিকঠাক ক’রে ঘরে রেখে, তালা লাগিয়ে তবে সহরের রং দেখে বেড়াচ্চি ” ( সকলের হাস্য )। ভবনাথ—এ খুব উচু কথা । মণি (স্বগত )–ব্রহ্মজ্ঞানের পর লীলা-অস্বাদন ! সমাধির পর নীচে নামা ! স্ত্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারাদির প্রতি )–ব্রহ্মজ্ঞান কি সহজে হয় গা ! মনের নাশ না হলে হয় না। গুরু শিষ্যকে বলেছিল, তুমি আমায় মন দাও, আমি তোমায় জ্ঞান দিচ্ছি। স্যাংটা বলতে, ‘আরে মন বিলাতে নাহি !