পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮৫, ১৩ই জুন দেখ নাই ? হালকা দিকটা উচু হয়, যে ব্যক্তি নিজে উচু হয়, সে হালকা। সকলেই গুরু হ’তে যায় !—শিষ্য পাওয়া যায় না " । ত্ৰৈলোক্য ছোট খাটটির উত্তর ধারে মেঝেতে বসিয়াছেন। ত্ৰৈলোক্য গান গাইবেন । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন, “আহা ! তোমার কি গান।” ত্ৰৈলোক্য তানপুরা লইয়া গান করিতেছেন— তুঝ সে হামনে দিলকো লাগায়, যে কুচ হায় সব তুহি হায় ॥ গান—তুমি সৰ্ব্বস্ব আমার ( হে নাথ ! ) প্রাণাধার সারাৎসার । নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে আপনার বলিবার | গান শুনিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবে বিভোর হইতেছেন । আর বলিতেছেন, “আহা ! তুমিই সব ! আহা ! আহ!” গান সমাপ্ত হইল। ছয়টা বাজিয়া গিয়াছে । ঠাকুর মুখ ধুইতে ঝাউতলার দিকে যাইতেছেন । সঙ্গে মাষ্টার । ঠাকুর হাসিতে হাসিতে গল্প করিতে করিতে যাইতেছেন। মাষ্টারকে হঠাৎ বলিলেন, “কই তোমরা খেলে না ? আর ওরা খেলে না ?” ঠাকুর ভক্তদের প্রসাদ দিবার জন্য ব্যস্ত হইয়াছেন। ● [ নরেন্দ্র ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ] আজ সন্ধ্যার পর ঠাকুরের কলিকাতায় যাইবার কথা আছে। ঝাউতলা থেকে ফিরিবার সময় মাষ্টারকে বলিতেছেন, “তাই ত কার গাড়িতে যাই ?” সন্ধ্যা হইয়াছে । ঠাকুরের ঘরে প্রদীপ জ্বালা হইল ও ধুনা দেওয়া হইতেছে । ঠাকুরবাড়িতে সব স্থানে ফরাস আলো জালিয়া দিল । রোশনচোকী বাজিতেছে। এবার দ্বাদশ শিব-মন্দিরে, বিষ্ণুঘরে ও কালীঘুরে আরতি হইবে। - 。ノ・