পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর বাগানে সাঙ্গোপাঙ্গসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ott ঠাকুর আজও বিশেষ অসুস্থ । রাত্রি দুই প্রহর। আজ শুক্ল পক্ষের নবমী তিথি, চাঁদের আলোয় উদ্যানভূমি যেন আনন্দময় হইয়া রহিয়াছে। ঠাকুরের কঠিন পীড়া—চন্দ্রের বিমলকিরণ দর্শনে ভক্তহৃদয়ে । আনন্দ নাই। যেমন একটি নগরীর মধ্যে সকলই সুন্দর, কিন্তু শক্ৰ , সৈন্য অবরোধ করিয়াছে। চতুর্দিকে নিস্তব্ধ, কেবল বসন্তানিলম্পর্শে । বৃক্ষপত্রের শব্দ হইতেছে। উপরের হল ঘরে ঠাকুর শুইয়া আছেন। ভারী অসুস্থ,—নিদ্রা নাই। দু একটি ভক্ত নি:শব্দে কাছে বসিয়া আছেন—কখন কি প্রয়োজন হয়। এক একবার তন্দ্র আসিতেছে ও ঠাকুরকে নিদ্রাগত প্রায় বোধ হইতেছে । “এ কি নিদ্রা না মহাযোগ ? যস্মিন স্থিতো ন দুঃখেন গুরুণী:পি বিচাল্যতে !" এ কি সেই যোগাবস্থা ? - মাষ্টার কাছে বসিয়া আছেন । ঠাকুর ইঙ্গিত করিয়া আরো কাছে আসিতে বলিতেছেন । ঠাকুরের কষ্ট দেখিলে পাষাণ বিগলিত হয় ! মাষ্টারকে আস্তে আস্তে আতি কষ্টে বলিতেছেন—“তোমরা কাদবে বলে এত ভোগ করছি—সববাই যদি বল যে—এত কষ্ট তবে দেহ যাক'-—তা হ’লে দেহ যায় !” কথা শুনিয়া ভক্তদের হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে । যিনি তাহাদের পিতা মাত রক্ষাকৰ্ত্তা, তিনি এই কথা বলিতেছেন —সকলে চুপ করিয়া আছেন। কেহ ভাবিতেছেন, এরই নাম কি Crucifixion ! ভক্তের জন্য দেহ বিসর্জন ! গভীর রাত্রি । ঠাকুরের অসুখ আরও যেন বাড়িতেছে! কি উপায় করা যায় ? কলিকাতায় লোক পাঠান হইল। শ্রীযুক্ত উপেন্দ্র ডাক্তার ও শ্রীযুক্ত নবগোপাল কবিরাজকে সঙ্গে করিয়া গিরিশ সেই अडौत्व রাত্রে আসিলেন ।