পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর বাগানে সাঙ্গোপাঙ্গসঙ্গে এঁরামকৃষ্ণ । ঈশ্বরই কামার, বলি, হাড়িকাট হইয়াছেন। এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর ভাবে বিভোর হইয়া বলিতেছেন—“আহা! আহ!” । আবার সেই ভাবাবস্থা ! ঠাকুর বাহশূন্ত হইতেছেন। ভক্তেরা । কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া চুপ করিয়া বসিয়া আছেন। . ঠাকুর একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিতেছেন—“এখন আমার কোনও কষ্ট নাই, ঠিক পূর্বাবস্থ৷ ” ঠাকুরের এই সুখ দুঃখের অতীত অবস্থা দেখিয়া ভক্তেরা অবাক হইয়া রহিয়াছেন । লাটুর দিকে তাকাইয়া আবার বলিতেছেন— “ঐ লোটাে-মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছে,—তিনিই (ঈশ্বরই ) মাথায় হাত দিয়ে যেন রয়েছেন !” • ঠাকুর ভক্তদের দেখিতেছেন ও স্নেহে যেন বিগলিত হইতেছেন। যেমন শিশুকে আদর করে, সেইরূপ রাখাল ও নরেন্দ্রকে আদর করিতেছেন! তাহাদের মুখে হাত বুলাইয়া আদর করিতেছেন । f কেন লীলা সংবরণ ? ] কিয়ৎপরে মাষ্টারকে বলিতেছেন, “শরীরটা কিছুদিন থাকতো, লোকেদের চৈতন্য হতো।” ঠাকুর আবার চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর আবার বলিতেছেন—“তা রাখবে না।” ভক্তেরা ভাবিতেছেন, ঠাকুর আবার কি বলিবেন । ঠাকুর আবার বলিতেছেন, —“তা রাখবে না,—সরল মূখ দেখে পাছে লোকে সব ধরে পড়ে। সরল মূখ পাছে সব দিয়ে ফেলে ! একে কলিতে ধ্যান জপ নাই ।” রাখাল (সস্নেহে )—আপনি বলুন—যাতে আপনার দেহ থাকে । শ্রীরামকৃষ্ণ—সে ঈশ্বরের ইচ্ছা ।