পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧8 ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ । s set', ১৩ই এপ্রিল কিয়ৎক্ষণ পরে ডাক্তারের চলিয়া গেলেন । ঠাকুর ঐযুক্ত রাখাল হালদারের সহিত কথা কহিতেছেন । - হালদার—শ্ৰীনাথ ডাঃ বেদান্ত চর্চা করে—যোগবাশিষ্ঠ পড়ে। স্ত্রীরামকৃষ্ণ–সংসারী হয়ে, ‘সব স্বপ্লবৎ—এ সব মত ভাল নয়। একজন ভক্ত—কালিদাস বলে সেই লোকটি—তিনিও বেদান্ত-চর্চা করেন ; কিন্তু মোকৰ্দমা ক’রে সবর্বস্বাস্ত । স্ত্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—সব মায়া—আবার মোকৰ্দমা ! ( রাখালের প্রতি ) জনাইয়ের মুখুজ্যে প্রথমে লম্বা লম্বা কথা বলছিল ; তার পর শেষকালে বেশ বুঝে গেল ! আমি যদি ভাল থাকতুম ওদের সঙ্গে আর খানিকটা কথা কইতাম । জ্ঞান জ্ঞান কি করলেই হয় ? [ কামজয় দৃষ্টে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রোমাঞ্চ ] হালদার—অনেক জ্ঞান দেখা গেছে। একটু ভক্তি হলে বাচি । সে দিন একটা কথা মনে ক’রে এসেছিলাম। তা আপনি মীমাংসা ক’রে দিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ব্যগ্র হইয়া )—কি, কি ? .হালদার—আজ্ঞে, এই ছেলেটি এলে বললেন যে—জিতেন্দ্রিয়। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ই গো, ওর ( ছোট নরেনের ) ভিতর বিষয়বুদ্ধি আদপে ঢোকে নাই ! ও বলে কাম কাকে বলে তা জানি না। (মণির প্রতি ) “হাত দিয়ে দেখ আমার রোমাঞ্চ ষ্ট " কাম নাই, এই শুদ্ধ অবস্থা মনে করিয়া ঠাকুরের রোমাঞ্চ হইতেছে। যেখানে কাম নাই সেখানে ঈশ্বর বর্তমান । এই কথা মনে করিয়া কি ঠাকুরের ঈশ্বর উদ্দীপন হইতেছে **** - রাখাল হালদার বিদায় লইলেন ।