পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে - ৩৩ ৷ সখ্য-বন্ধুর ভাব ; এস, এস কাছে এসে বস। ঐদামাদি কৃষ্ণকে কখন এটাে ফল খাওয়াচ্ছে, কখন ঘাড়ে চড়ছে! । “বাৎসল্য—যেমন যশোদার । স্ত্রীরও কতকটা থাকে,—স্বামীকে প্রাণ চিরে খাওয়ায়। ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট। যশোদা, কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন । “মধুর—যেমন শ্ৰীমতীর। স্ত্রীরও মধুর ভাব। এ ভাবের ভিতরে সকল ভাবই আছে–শাস্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ” । মণি—ঈশ্বরকে দর্শন কি এই চক্ষে হয় ? স্ত্রীরামকৃষ্ণ—তাকে চৰ্ম্মচক্ষে দেখা যায় না। সাধন করতে করতে একটি প্রেমের শরীর হয়—তার প্রেমের চক্ষু, প্রেমের কর্ণ। সেই চক্ষে তাকে দ্যাখে,—সেই কর্ণে তার বাণী শুনা যায়। আবার প্রেমের লিঙ্গ যোনি হয় । - . . . . . . এই কথা শুনিয়া মণি হো, হো করিয়া হাসিয়া ফেলিলেন। ঠাকুর বিরক্ত না হইয়া আবার বলিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ–এই প্রেমের শরীরে আত্মার সহিত রমণ হয়। । [মণি আবার গম্ভীর হইলেন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরের প্রতি খুব ভালবাসা না এলে হয় না। খুব ভালবাসা হলে তবেই ত চারিদিক ঈশ্বরময় দেখা যায়। খুৰঞ্জী হ’লে তবেই চারিদিক হলদে দেখা যায়। ~ “তখন আবার তিনিই আমি এইটি বোধ হয় । মাতালের নেশা বেশী হ’লে বলে, ‘আমিই কালী’ । - “গোপীর প্রেমোন্মত্ত হয়ে বলতে লাগল, ‘আমিই কৃষ্ণ । “র্তাকে রাতদিন চিন্তা করলে তাকে চারিদিকে দেখা যায়,—যেমন o—o