পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిషి শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ ১৮৮৩,২২ জুলাই । হা হা হা” বলে ভিতরে পড়ে গেল। আর কোন খবর দিল না। যেই উঠে সেই হা হা হু হ৷ ক’রে প’ড়ে যায়। তখন খবর আর কে দিবে ? “জড়-ভরত, দত্তাত্রেয় এর ব্রহ্ম দর্শন ক’রে আর খবর দিতে পারে নাই । ব্ৰহ্মজ্ঞান হ’য়ে সমাধি হ’লে আর আমি থাকে না । তাই রামপ্রসাদ বলেছে, 'আপনি যদি না পারিস মন তবে রামপ্রসাদকে সঙ্গে নেন’ । মনের লয় হওয়া চাই আবার ‘রামপ্রসাদের লয়’ অর্থাৎ অহংতত্ত্বের লয়, হওয়া চাই। তবে সেক্ট ব্রহ্মজ্ঞান হয় । একজন ভক্ত। মহাশয় ! শুকদেবের কি জ্ঞান হয় নাই ? শ্রীরামকৃষ্ণ । কেউ কেউ বলে, শুকদেব ব্রহ্মসমুদ্রের দর্শন স্পর্শন মাত্র করেছিলেন, নেমে ডুব দেন নাই। তাই ফিরে এসে অত উপদেশ দিয়েছেন । কেউ বলে তিনি ব্ৰহ্মজ্ঞানের পর ফিরে এসেছিলেন – লোকশিক্ষার জন্ত । পরীক্ষিৎকে ভাগবত বলবেন, আরো কত লোক-শিক্ষা দিবেন, তাই ঈশ্বর তার -সব ‘আমি’র ज्ञग्न করেন নাই । বিদ্যার ‘আমি এক রেখে দিয়েছিলেন । দল (সাম্প্রদায়িকতা) ও ব্রহ্মজ্ঞান ; কেশবচন্দ্র সেন । ] একজন ভক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞান হ’লে কি দলটল থাকে । শ্রীরামকৃষ্ণ । কেশবসেনের সঙ্গে ব্ৰহ্মজ্ঞানের কথা হচ্ছিল। কেশব ব’ল্লে আরও বলুন । আমি বল্লুম, আর ব’ল্পে দলটল থাকে না। তখন কেশব ব’ল্পে, তবে আর থাক, মশাই । (সকলের হাস্য) তবু আমি কেশবকে বল্লুম, “আমি "আমার’ এটা অজ্ঞান । ‘আমি কৰ্ত্তা’ আর আমার এই সব স্ত্রী, পুত্র, বিষয় মান, সঞ্জম, এ ভাব অজ্ঞান না হ’লে হয় না। তখন কেশব ব’ল্লে, মহাশয় ‘আমি ত্যাগ করলে যে আর কিছুই থাকে না । আমি বল্লুম, কেশব, তোমাকে সব ‘আমি ত্যাগ করতে বলছি না, তুমি ’ৰ্কাচ আমি ত্যাগ কর। “আমি কৰ্ত্তা আমার স্ত্রী পুত্র ‘আমি গুরু এ সব অভিমান, কাচা আমি এইটি ত্যাগ কর । এইটি ত্যাগ ক’রে পাক আমি হয়ে থাকে। আমি তার দাস, আমি তার ভক্ত আমি অকৰ্ত্ত, তিনি কৰ্ত্ত। ' متم " আদেশ ও ধৰ্ম্মপ্রচার । ] , একজন ভক্ত। “পাক। আমি” কি দল করতে পারে ? : শ্রীরামকৃষ্ণ । আমি কেশব সেনকে বল্লুম, আমি দলপতি, আমি দল করেছি, আমি লোক শিক্ষ। দিচ্ছি, এ ‘আমি’ ‘কাচ আমি’ । মতপ্রচার বড় কঠিন। ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতিরেকে হয় না। তার আদেশ চাই। যেমন