পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४२ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ ১৮৮৪, ২৫ জুন। تحصيلعهیاتی خلی مخصی حمید حمیستایمی===

      • -*-**

میدانست “জগতের মাকে পেলে, ভক্তিও পাবে আবার জ্ঞানও পাবে। জ্ঞানও পাবে, আবার ভক্তিও পাবে। ভাবসমাধিতে রূপদৰ্শন হয় ; আঁবার নিৰ্ব্বিকল্প সমাধিতে অখণ্ডসচ্চিদানন্দ দর্শন হয়, – তখন অহং, নাম, রূপ থাকে না। ~ ভক্ত ও কৰ্ম্ম ; ভক্তের প্রার্থনা । ] ‘ভক্ত বলে “মা, সকাম কৰ্ম্মে , আমার বড় ভয় হয়। সে কৰ্ম্মে কামনা আছে। সে কৰ্ম্ম করলেই ফল পেতে হবে। আবার অনাসক্ত হয়ে কৰ্ম্ম করা বড় কঠিন । সকাম কৰ্ম্ম করতে গেলে, তোমায় ভুলে যাবো। তবে এমন কৰ্ম্মে কাজ নাই। যত দিন না তোমায় লাভ করতে পারি, ততদিন পৰ্য্যস্ত যেন কৰ্ম্ম কমে যায়। যে টুকু কৰ্ম্ম থাকবে, সে টুকু কৰ্ম্ম যেন অনাসক্ত হয়ে করতে পারি ; আর সঙ্গে সঙ্গে যেন খুব ভক্তি হয়। আর যত দিন না তোমায় লাভ ক’ৰ্ত্তে পারি, ততদিন যেন নূতন কৰ্ম্ম জড়াতে মন না যায়। তবে যখন তুমি আদেশ করবে তখন তোমার কৰ্ম্ম করবে, নচেৎ নয়।” পঞ্চম পরিচ্ছেদ । [ তীর্থযাত্রা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ । ] পণ্ডিত। মহাশয়ের তীর্থে কত দূর যাওয়া হয়েছিল ? শ্রীরামকৃষ্ণ । ই কতক জায়গা দেখেছি। ( সহাস্তে ) হাজরা অনেক দুর গিছল ; আর খুব উচুতে উঠেছিল। হৃষীকেশ গিছল। (সকলের হান্ত )। আমি অত দূর যাই নাই, অত উচুতেও উঠি নাই। (সকলের হাস্ত)। “চিল শকুনিও অনেক উচ্চে উঠে, কিন্তু নজর ভাগাড়ে। (সকলের হাস্ত)। ভাগাড় কি জান ? কামিনী ও কাঞ্চন। । r “ঘদি এখানে বসে ভক্তি লাভ করতে পার, তা হ’লে তীর্থ যাবার কি দরকার? কাশী গিয়ে দেখলাম সেই গাছ! সেই তেঁতুলপাতা! “তীর্থে গিয়ে যদি ভক্তিলাভ না হ’লে, তা হলে তীর্থ যাওয়ার আর ফল হ’ল না। আর ভক্তিই সার, আর এক মাত্র প্রয়োজন। চিল শকুনি কি জান ? অনেক লোক আছে, তার লম্বা লম্বা কথা কয়। আর বলে যে, শাস্ত্রে যে সকল কৰ্ম্ম করতে বলেছে, আমরা অনেক করেছি। এদিকে তাদের মন ভারি বিষয়াসক্ত–টাকা,কড়ি, মান, সন্ত্রম, দেহের মুখ, এই সব নিয়ে ব্যস্ত!” । ية