পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [১৮৮৪,১৯ অক্টোবর । - هید সদরওয়ালা। সস্তান প্রতিপালন কত দিন ? শ্রীরামকৃষ্ণ । সাবালক হওয়া পৰ্য্যন্ত । পার্থী বড় হ’লে যখন সে আপনার ভার নিতে পারে, তখন তাকে ধাড়ী ঠোক্রায়, কাছে আসতে দেয় না । t ( সকলের হাস্ত ) ৷ [ গৃহস্থের কৰ্ত্তব্য ; জ্ঞানোন্মাদ ও কৰ্ত্তব্য । ] সদরওয়ালা । স্ত্রীর প্রতি কি কৰ্ত্তব্য ? শ্রীরামকৃষ্ণ । তুমি বেঁচে থাকতে থাকতে ধৰ্ম্মোপদেশ দেবে, ভরণপোষণ করবে। যদি সতী হয়, তোমার অবর্তমানে খাবার যোগাড় ক’রতে হবে । “তবে জ্ঞানোন্মাদ হ’লে আর কর্তব্য থাকে না । তখন কালকার জন্য তুমি না ভাবলে ঈশ্বরে ভাবেন । জ্ঞানোন্মাদ হ’লে তিনি তোমার পরিবারদের জন্য ভাববেন । যখন জমীদার নাবালক ছেলে রেখে ম’রে যায়, তখন আছী সেই নাবালকের ভার লয়। (সদরওয়ালার প্রতি ) ৷ “এ সব আইনের ব্যাপার, তুমি তো সব জানো ?” সদরওয়ালা । আজ্ঞা হা । বিজয় গোস্বামী । আহা ! আহা ! কি কথা ! যিনি অনন্তমন হয়ে তার চিস্ত করেন, যিনি তার প্রেমে পাগল, তার ভার ভগবান নিজে বহন করেন । নাবালকের অমনি আছ এসে জোটে ! আহা কবে সেই অবস্থা হবে ? র্যাদের হয় তারা কি ভাগ্যবান ! ত্ৰৈলোক্য । মহাশয়, সংসারে যথার্থ কি জ্ঞান হয় ? ঈশ্বর লাভ হয় ? শ্রীরামকৃষ্ণ । ( হাসিতে হাসিতে ) ৷ কেন গো তুমি ভো সারে মাতে আছে । ( সকলের হাস্য )। ঈশ্বরে মন রেখে সংসারে আছো তো । কেন সংসারে হবে না ? অবশ্য হবে। w , - [ জ্ঞানীর লক্ষণ ; জীবন্মুক্ত। ] ত্ৰৈলোক্য। সংসারে জ্ঞান লাভ হয়েছে, তার লক্ষণ কি?” , ঐরামকৃষ্ণ । হরিনামে ধারা আর পুলক। তার মধুর নাম শুনেই শরীর রোমাঞ্চ হবে, আর চক্ষু দিয়ে ধারা বেয়ে পড়বে। “যত ক্ষণ বিষয়াসক্তি থাকে, কামিনী-কাঞ্চনে ভালবাসা থাকে, ততক্ষণ দেহৰুদ্ধি যায় না। বিষয়াসক্তি যত কমে, ততই আত্মজ্ঞানের দিকে চলে যেতে পারা যায় ; আর দেহবুদ্ধি কমে। বিষয়াসক্তি একবারে চলে গেলে আত্মজ্ঞান হয়, তখন আত্মা আলাদা, আর দেহ আলাদা বোধ হয় । নারি