পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে। মন্মোহন, হৃদয়, মহিমাচরণ প্রভৃতি সঙ্গে। ১৯৩

  • আচ্ছা, অভিমান জ্ঞানে হয়, ন’ অজ্ঞানে হয় ? যার ব্ৰহ্মজ্ঞান হয়েছে, তার কি আমি পণ্ডিত,’ ‘আমি জ্ঞানী,’ ‘আমি ধনী, ব’লে অভিমান থাকতে

পারে ? “দেবেন্দ্রের সঙ্গে কথা কইতে কইতে আমার হঠাৎ সেই অবস্থাটা হ’ল । সেই অবস্থাটা হ’লে কে কিরূপ লোক দেখতে পাই । আমার ভিতর থেকে হী হী ক’রে একটা হাসি উঠিল। যখন ঐ অবস্থাটা হয়, তখন পণ্ডিত ফণ্ডিত তৃণ জ্ঞান হয় । যদি দেখি, পণ্ডিতের বিবেক-বৈরাগ্য নাই, তখন খড় কুটোর মত বোধ হয়। তখন দেখি, যেন শকুনি খুব উচুতে উঠছে, কিন্তু ভাগাড়ের দিকে নজর । są: [ যোগ ও ভোগ । ] - “দেখলাম, যোগ ভোগ দুইই আছে ; অনেক ছেলে পুলে, ছোট ছোট ; ডাক্তার এসেছে ;—তবেই হ’লো, অত জ্ঞানী হয়ে সংসার নিয়ে সৰ্ব্বদা থাকৃতে হয়। ব’ল্লুম, তুমি কলির জনক। জনক ‘এদিক উদিক দ্বদিক রেখে খেয়েছিল । দুধের বাটি । তুমি সংসারে থেকে ঈশ্বরে মন রেখেছ শুনে, তোমায় দেখতে । এসেছি ; আমায় ঈশ্বরীয় কথা কিছু শুনাও । “তখন বেদ থেকে কিছু কিছু শুনালে । ব'ল্পে, এই জগৎ যেন একটী । ঝাড়ের মত, আর জীব হয়েছে—এক একটা ঝাড়ের দীপ। আমি এখানে । পঞ্চবটীতে যখন ধ্যান ক’বৃতুম ঠিক ঐ রকম দেখেছিলাম। দেবেন্দ্রের কথার সঙ্গে মিলন দেখে ভাবলুম, তবে তো খুব বড় লোক! ব্যাখ্যা কাঁতে ব’ল্লাম –ত। ব’লে, “এ জগৎ কে জানতো ?—ঈশ্বর মাহষ করেছেন ক্ষার মহিমা প্রকাশ করবার জন্য। ঝাড়ের আলো না থাকলে সব অন্ধকার, ঝাড় পৰ্য্যন্তু দেখা যায় না ।” ... . . "

  • [ অসভ্যতা ও ব্রাহ্মসমাজ। ] .م. , . : ب

“অনেক কথাবাৰ্ত্তার পর দেবেন্দ্র খুনী হয়ে ব’ল্পে, আপনাকে উৎসবে * - আসতে হবে। আমি ব’ল্লাম, সে ঈশ্বরের ইচ্ছা—আমার তো এই অবস্থা । দেখছে –কখন কি ভাবে তিনি রাখেন। দেবেন্দ্র বল্পে, ‘ন, আস্ফুর্ত হৰৈ তবে ধুতি আর উড়ানি পরে এসে —তোমাকে এলোমেলে। দেখে কেউ কিছু ব’লে, আমার কষ্ট হবে। আমি ব’ল্লাম , তা পারবো না ; আমি বাৰু হতে পারবে না। দেবেন্দ্র, সেজে৷ বাৰু, সব হাসতে লাগলো।

  • রাক্ষোৎসব। .
- “ r. U