পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०२ ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ — তৎসম্বন্ধে নিয়োক্ত কিংবদন্তী শ্রত হওয়া যায়। জয়ন্তীয়ার বড় গোসাঞির রাজত্বকালে ( খৃষ্টাব্দ ১৫৪৮–১৬৬৪ পৰ্য্যন্ত ) একদা কতিপয় রাখাল বালক একখণ্ড প্রস্তরের সন্নিকটে নানারূপ খেলা করিতেছিল। ক্রীড়াচ্ছলে তাহদের মধ্যে একজন রাখাল পূজক সাজিলে, অপর বালক ছাগশিশুরূপে তদ্বৎ শব্দ করিতে লাগিল। অন্যবালকের পুষ্পাদি আনিয়া দিলে ব্রাহ্মণরূপী বালক পূজায় বসিল। দৈবক্রমে তাহারা সেই প্রস্তরকেই পূজা করিল। পূজা সমাধা হইলে বলির জন্য ছাগরূপী বালক আনীত হইল এবং বিন্না তৃণের দীর্ঘ-পত্ররূপ খড়েগ ছাগরূপী বালকের গলদেশে আঘাত করা হইল। কিন্তু ইহাতে এক অলৌকিক সাজঘাতিক ব্যাপার সংঘটিত হইল, বিন্নাতুণপত্রের আঘাতে সেই বালক দেহ দ্বিখণ্ডিত হইয়া গেল !! ভয়ত্রস্ত বালকদল যার যার গৃহে দৌড়িয়া গেল, মুহূর্তে সেই স্থান জনতা পূর্ণ হইল। এই অদ্ভূত হত্যা বিবরণ রাজপুরুষগণ কর্তৃক রাজার শ্রুতি গোচর হইল ; রাজা বড় গোসাঞি (প্রথম) এই আশ্চৰ্য্য ঘটনা শ্রবণে কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া, স্বীয় গুরুদেবকে সঙ্গে করতঃ স্বয়ং ফালজোরে গমন করেন। জয়ন্তীরাজের গুরু একজন প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক ও সিদ্ধপুরুষ ছিলেন । তিনি বালকদের খেল। স্থলে উপস্থিত হইয়া, সে প্রস্তরখণ্ড দর্শনে বিস্মিত হইলেন ও আধ্যাত্মিক প্রমাণ প্রাপ্তে র্তাহাকেই বামজজঘা পীঠের ভৈরবী জয়ন্তীদেবী বলিয়া প্রকাশ করিলেন । মহারাজ, নিজ রাজ্যের জয়ন্তীয়া নাম হাওয়ার মূল কারণ এই দেবীর পরিচয় প্রাপ্তে অত্যন্ত প্রফুল্ল হইলেন । ঢাক ঢোল বাজাইয়া আনন্দ প্রকাশ করিলেন এবং দেবীকে নিজপাটে ( রাজধানীতে ) লইয়া যাইবার জন্য খনক নিয়োজিত করিলেন । কিন্তু খনন কারীরা ক্রমাগত খনন করিয়াও প্রস্তর খণ্ডের নিয়প্রাস্ত বাহির করিতে সমর্থ হইল না ; কারণ— কিছুটা খনন করিলেই পার্থোখিত ভুরি পরিমাণ বালুকায় গর্তটি পূরিয়া যাইতে লাগিল । পুনঃ পুনঃ চেষ্টা করিয় অকৃতকাৰ্য্য হইলে, তাহ দৈব অভিপ্রায়ে সংঘটিত হইতেছে ভাবিয়া, রাজা সেই উদ্যমে ক্ষান্ত হইলেন ও সেই স্থান মুচা রূপে বাধাইয়া দিলেন। অনতি বিলম্বে চতুর্দিক