পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [২য় ভাঃ ১ম খঃ করিয়া শ্লেষাত্মক— “মলিনৈশ্চেন্ন সঙ্গতে শঠেঃ কাককুলৈঃ পিক । শ্রনিদূষকনিহাদৈঃ শ্লাঘনীয়স্তদাভবে।” (শঙ্করবিজয় ) ইতি শ্লোকবাক্য পাঠ করিলেই যুদ্ধারম্ভ হয়। ফলতঃ কুমারিলভট্ট ও শঙ্করাচার্য্যের পূর্বাকার এই বৌদ্ধ বিজয় সম্বন্ধে আমরা আর কোথাও একটা ছত্রও প্রাপ্ত হই না। পুরাবৃত্ত মতে পঞ্চতপস্বী; ত্রিপুরার রাজধানী জয়পুরে (?) শক্তি, বিষ্ণু ও শিব প্রতিষ্ঠা ও সংকীৰ্ত্তনাদিতে ন্যস্তচিত্ত ছিলেন ।” বৈদিক পুরাবৃত্ত ব্যতীত অপর কেহই যেরূপ পঞ্চতপস্বীর বৌদ্ধ-বিজয়-বার্তা ঘোষণা করেন নাই, সেইরূপ র্তাহাদের এই কীৰ্ত্তিটা—সেই প্রাচীন কালে প্রতিষ্ঠিত শক্তি, শিব ও বিষ্ণু মূৰ্ত্তিরও কোন নিদর্শন ত্রিপুরায় যে মিলে না ? বরং অব্রাহ্মণ পূজিত চতুর্দশ দেবতার পরিচয় পাওয়া যায়, তথাপি ঐ সকল দেবদেবীর বা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পূর্বপ্রচারিত () সেই সংকীৰ্ত্তনের সংবাদ সংবলিত কিছুই পাওয়া যায় না ! th আরও লিখিত আছে,—বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী তাবৎ “জাতিহীন” ব্রাহ্মণগণকে তন্ত্রোপদেশ করা হয়। এত লোক সমাজ বহিভূত থাকিলে চলিবে কেন ? কিন্তু দুঃখের বিষয়, শঙ্কর বিজয়াদি আলোচনায় দেখা যায় যে, শঙ্করাচার্য্যের পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণসমাজে তান্ত্রিক দীক্ষাপদ্ধতির একান্ত অভাব ছিল। অতএব পুরাবৃত্তের এইরূপ সংবাদ কতদূর সত্যমূলক, তাহা বিবেচ্য বটে। নিধিপতি দ্বিজ সম্পর্কে লিখিত আছে যে, তপস্তার্থে তিনি কান্তকুজ হইতে প্রয়াগে আগমন করেন, পরে যবনভয়ে স্বধৰ্ম্মপার রাজ্যে আসিয়া উপস্থিত হন। এস্থলে এ প্রশ্ন উথাপিত হওয়া স্বাভাবিক যে, যবন ভয় কোথায় উপস্থিত হইয়াছিল ? প্রয়াগে ? —তাহ হইলে দেশে ফিরিয়া গেলেই চলিত। তাহ যাহাই হউক, তপস্তাকামী নিধিপতি কাশী প্রভৃতি পুণ্যতীর্থ ত্যাগ করির কেন একবারে ত্রিপুরা রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন, কেনইবা মস্তিত্বরূপ মহাসাংসারিকতায় বিজড়িত হইলেন, পুরাবৃত্তে এ প্রশ্নের সদুত্তর মিলিবে না। জার অধিক কথার আবগুক নাই, নিধিপতি কান্তকুজাগত না হইলেই