পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ २२ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ ২য় ভাঃ ২য় খঃ حسی-ع- اساطیسیحیح .*-* ம் ـغد খোনকার পরিবারের উপর যে নৃশংস অত্যাচার হয়, তাহার প্রতিকারার্থে অভিযোগ । রিয়াজুর রহমান, আহমদ রজা প্রভৃতির উপর অভিযোগ উপস্থিত করিলেন। মুর্শিদাবাদের ফৌজদারী আদালতের বৈঠকে ১১৮১ বাঙ্গালার (১৭৭৪ খৃঃ) ১৭ই পৌষ তারিখে তিনি নিজ জবানবন্দি লিখিত ভাবে দাখিল করেন। এই বৈঠকে ইংরেজ কৰ্ম্মচারী সার কলুবর সাহেব, এবং কাজি মোহাম্মদ জরিপ, কাজি হোসেন উদ্দীন, মুফতী আবুল মুজাফর, মৌলবী আবদুল্লা ও আলিমউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। খোন্দকার রাজকীয় কৰ্ম্মচারী ছিলেন বলিয়া ইহা একটি গুরুতর ব্যাপার বলিয়া গণ্য হইয়াছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত সার কলুবরের নাম করা গিয়াছে, কোন বিশেষ বিষয়ের বিচার কাৰ্য্যে কোম্পানীর পক্ষেও এক এক জন বিচারক উপস্থিত থাকিতেন, ইনি সেই ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। অভিযোগ উপস্থিত হইলে সরেজমিন ( ঘটনাস্থল ) তদন্তক্রমে আসামী ধৃত করার জন্য দেলওয়ার র্থ সেনাপতি, সদর কানুনগো, রাম শরণ আমীন ও শিব প্রসাদ গোমস্ত মফঃস্বলে প্রেরিত হন। 를 . রাজকীয় সৈন্য গ্রেপ্তার করিতে আসিতেছে শুনিয়া হামিদ রজা ও তাহার অপর ভ্রাতা হাসন রজা পলায়ন করিলেন। লালচান্দ পৰ্ব্বতের উপর গড় বেষ্টত একটি গুপ্ত বাটা প্রস্তুত হইয়াছিল, তাহারা সেই নিরাপদ স্থানেই চলিয়া গেলেন। বীরবর আহমদ রজা পলায়ন করেন নাই, তিনি ধৃত হইয়া মুর্শিদাবাদে নীত হন। এই সময় মধ্যে সার কলুবর ঢাকায় বদলি হন, ঢাকাতে গিয়াও তিনি পলাইত আসামীদিগকে ধৃত করার জন্য পুনঃ দেলওয়ার র্থ সেনাপতি ও সার্জনকে প্রেরণ করেন; ইহারাও হামিদ রজ ও হাসন রজ প্রভৃতির সন্ধান পান নাই। । মোকদম উপস্থিত হইলে, আহমদ রজা প্রত্যুত্তর দেন যে, শারীরিক আসামীর । অশ্বাস্থ্য হেতু হাঙ্গামার সময় তিনি লস্করপুরের প্রত্যুত্তর। কাছারীতে উপস্থিত ছিলেন না। জমিদারী শাসন ও হুজুরী খাজান প্রেরণের জন্য হামিদ রজা কাছারীতে উপস্থিত