পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミ8 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। ( २ग्न उl: २भ्रे शं: বেগতিক দেখিয়া সুচতুর হামিদ রজা রিয়াজুর রহমানের নিকট আপন কন্যার বিবাহ দেওয়ার প্রস্তাব করেন ও বিবিধ উপায়ে তাহাকে বশীভূত করিয়া ফেলেন। তখন রিয়াজুরের মত ফিরিয়া গেল, তিনি পিতৃ ও ভ্রাতৃহস্তাদিগকে রক্ষা করিতে ব্যস্ত হইলেন। পরামর্শানুসারে তখন নূতন সাক্ষিগণ উপস্থিত করা হইল, এবং ইতিপূৰ্ব্বে রাম শরণ মোনশী কর্তৃক যে সাক্ষিগণের জবানবশি গৃহীত হয়, তাহার প্রকৃত কাগজ গোপন করিয়া কৃত্ৰিম নকল উপস্থিত করা হইল। ইহাতে মোকদ্দমার ফল অন্যরূপ দাড়াইল । দেখা গেল যে, দর্শক সাক্ষী একটিও নাই ; মোমলমান শাস্ত্রের ব্যবস্থানুসারে শুনা কথায় বিশ্বাস করিয়া দণ্ড দেওয়া যায় না ; কাজেই মোকদ্দমা “ডিসমিস’ হইল। আহমদ রজা ও হামিদ রজা প্রভৃতি অব্যাহতি লাভ করিলেন । এই মোকদ্দমার বিবরণ হইতে তখনকার বিচার প্রণালী কতকটা অবগত হওয়া যায়, তখনও ইংরেজগণ শাসন কাৰ্য্যে সম্পূর্ণ হস্তক্ষেপ করেন নাই ; বিচার কার্য্য সূক্ষ্মভাবে হইত না, আদালতের কাগজপত্র গোপন করা যাইতে পারিত। 頓 হামিদ রজা নির্দোষ প্রতিপন্ন হইলে অনতিবিলম্বে রিয়াজুর রহমানের গহিত মহা আড়ম্বরে আপন দুহিতার বিবাহ দিলেন। ত্রিপুরাধিপতি এই সময় নিজ অনুগ্রহ ভাজন মোতিওর রহমানের মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তে, রিয়াজুর রহমানকে সাস্তুনা বাক্য প্রেরণ করেন ; এবং পুৰ্ব্ব অনুগ্রহের নিদর্শন স্বরূপ খোন্দকার পুত্রকে কয়েকটি গ্রাম দান করেন ও খোয়াই নদীতে তাহার ৪০ খানা নৌকায় মহারাজ কোনরূপ কর আদায় করিবেন না, এই অনুমতি দেন। তদ্ব্যতীত উপস্থিত বিবাহ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ার অভিপ্রায়ে মহারাজ দুই দল সৈন্য রামীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন। যে বিবাদের বর্ণনা করা গেল, ইহার পূৰ্ব্বে নয় আনির জমিদারী পূর্বকার কাগজপত্রে “আহমদ আলী” এই যুক্ত নামাত্মক ‘আহমদআলী দস্তখত ব্যবহৃত হইত। আহমদ রজা নামের দস্তখতের প্রচার } ‘আহমদ ও আলীরজা নামের ‘আলী, এই