পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিজাত দ্রব্য ] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । \OS க παπωΨας ১২১৪ হাত লম্বা ও ৩৪ হাত পরিণি ( বেড় ) বিশিষ্ট হয় । তদপেক্ষ লম্ব। ও বড় কচমও প্রাপ্ত হওয়া যায়। কচম কাঠের সামান্ত একটা অংশ বা খণ্ড কাচা অবস্থায় মাটীর নীচে রাখিলে তাহা ও বৰ্দ্ধিত হইয়া বৃক্ষে পরিণত হয় । কচম কাঠ সংগ্ৰহ করিয়৷ স্থানীয় লোক শুষ্ক করতঃ জ্বালানি কাঠরূপে ব্যবহার করে। হেমন্তে জলাভূমি শুষ্ক হইলে কাঠসংগ্রহকারীরা লৌহশলাকা বিলের ধারে পঙ্কের মধ্যে প্রোথিত করিয়৷; তন্নিয়ে কচম আছে কিনা দেখে। সন্ধান পাইলে খুদিরা বা টানিয়া বৃক্ষ বাহির করিয়া লয়। এই কাষ্ঠের বর্ণ হরিদ্র ত লোহিত । কচম একবার শুষ্ক হইয়া গেলে তন্মধ্যে সহজে জল প্রবেশ করিতে পারে না । ( জুমের চাষ । ) জুম চাষের উল্লেখ পূৰ্ব্বে করা গিয়াছে, জুম চাব কি, তৎসম্বন্ধে কিছু বলা আবখক। খাসিয়া, কুকি, নাগ, কাছাড়ী প্রভৃতি পাৰ্ব্বত্য জাতীয় লোকেরা টালার উপরে জুম আবাদ করে। আবাদের জন্য স্থান নিৰ্দ্ধারণ করিয়া, এক এক পুঞ্জির বা পাড়ার লোক একত্র জুমের জন্য কাজ করিতে থাকে। সাধারণতঃ অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে সকলে মিলিয়া জঙ্গল কাটিয়া ফেলে ; ঐ জঙ্গল শুষ্ক হইয়া গেলে, ফাঙ্কন বা চৈত্র মাসে তাহাতে আগুণ লাগাইয়া জালাইয়া ফেলে ; তৎপরে বৈশাখ মাসেই সাধারণতঃ বীজগদি রোপণ করা হয় । “টাকল" নামক দা দিয়া ছোট ছোট গৰ্ত্ত করতঃ তাহাতে ধান্ত, ভূট্টা (কুকিরদানা—Maze ), কার্পাস, তিল, লঙ্কামরিচ, তরমুজ, চিনার প্রভৃতির বীজ একত্রে রোপণ করা হয় । থাবা নামক বেত্র নিৰ্ম্মিত দীর্ঘাকার চাঙ্গারিত ঐ সমস্ত বীজ একত্রে মিশ্রিত ভাবে থাকে । রোপণ কালে তাহার এক এক মুষ্টি এক এক গৰ্ত্তে ফেলিয়া দেওয়া হয়। তৎপরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় বীজ অঙ্কুরিত হইয়া, কালক্রমে ফলবান হয়। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে জুম একবার পরিষ্কার করিয়া দেওয়া হয়, এই সময় ভুট্ট ও চিনার পরিপক হইয় থাকে। চিনার সাধারণতঃ টাকায় ২•।২২টি