পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য 88 জোক মারিতে শিখাইতে লাগিলেন এবং ক্ষেতে ঘুটে, পোড়াইয়া এমনই একটা কাণ্ড করিতে লাগিলেন।--যে মশাগুলি আর তিষ্ঠিতে পারিল না। এদিকে দুর্গ একদিন ডুম্নী সাজিয়া খেয়া নৌকায় যাইয়া চড়িয়া বসিলেন,-দুর্গার মূর্তিটি ছিল ভারি সুন্দর, ডুমুনীদের মত শাড়ী ও গলায় ফুলের মালা পরাতে শিবঠাকুর তাহাকে চিনিতে পারিলেন না। বুড় লোকটি সহজ ছিলেন না, আগেই বলিয়াছি। তিনি তুর্গাকে ডুমনী ভাবিয়া তার সঙ্গে রসিকতা করিতে গেলেন । তখন দুর্গ ক্ষেপিয়া গিয়া নিজ মূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন, লজ্জা ও ভয়ে শিবঠাকুরের মুখ শুকাইয়া গেল। এই ভাবে রোজই “শিব-দুর্গার কোন্দল’ চলিতে লাগিল। এক দিন দুর্গ শিবের নিকট একজোড়া শাখা চাহিয়াছিলেন, শিব বলিলেন, “আমি কোথা পাব ? “বাপ বটে বড় লোক, বল গিয়া তায় ” এই কথা শুনিয়া এক হাতে কাৰ্ত্তিককে ধরিয়া গণেশকে কোলে লইয়া রাগিয়া দুর্গ বাপের বাড়ীর দিকে চলিয়া গেলেন। তখন নারদ আসিয়া উপস্থিত। শিব ঠাকুর তুর্গ-ছাড়া হইয়া মাথা হেঁট করিয়া বসিয়াছিলেন।