পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য ૧૦ লইয়া তাহাকে গুরু বলিয়া স্বীকার করিতে পারিব না। সে হাট-বাজারে নর্দামা পরিস্কার করে, আমি এত বড় রাজা হইয়৷ সেই হাড়ি বেটার পায়ে প্রণাম করিতে পারিব না।” রাণী বলিলেন,—“তোকে আমি বুকের রক্ত দিয়া মানুষ করিয়াছি, তুই ছেলে হইয়া এরূপ কদৰ্য্য কথা আমাকে বলিতেছিস্ ! তুই জন্মিয়াই মরিলি না কেন ? হাড়ি সিদ্ধা আমার গুরু-ভাই, তাহার শক্তির কথা তুই কিছুই জানিস না । সে খড়ম পায়ে দিয়া নদী পার হয় ; ইন্দ্রের পুত্র মেঘনাল তাহার মাথায় ছাতি ধরে ; সে চাদের পিঠে রান্না করিয়া খায়; ইচ্ছা হইলে চাদ আর সূৰ্য্যকে কুণ্ডল করিয়া দুই কানে পরে ; সে যমের কুটি ধরিয়া লইয়া আসে-তার আরও কত কি শক্তি আছে, তুই তাকে চিন্‌লি না । আর তোকে সন্ন্যাসী করিয়া বনে পাঠাইলে কি আমি মুখে থাকিব ? তুই আমার একমাত্র ছেলে । আমার গুরু বলিয়াছেন, তুই ১৮ বছর বয়সে সন্ন্যাসী হইয়া যদি ১২ বছর রাজ্য হইতে পূরে না থাকিল, তবে ভোর আয়ু আর বেশী নাই। ১৯ বছরে পা দিতে দিতে তোর মৃত্যু হইবে। আমি