পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( অনুব্যাখ্যা ৩২৫ ও বাস্ত্রর বিশেষণরূপে প্রযুক্ত হইয়াছে। সামানাধিকরণই এরূপ হওয়ার কারণ। মনুষ্যত্বাদি প্রকারক দেহপিণ্ডগুলি আত্মারই প্রকারস্যোতক বিশেষণ। আত্মা পুরুষ, ষণ্ড ২২ ও স্ত্রীরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, ইত্যাদি স্থলেও সামানাধিকরণ, সৰ্ব্বানুগুত। সামানাধিকরণ্য জাতি-গুণাদি পদাৰ্থীসকল উহার কারণ নহে। - স্বনিষ্ঠ দ্রব্যসমূহ কখন কখন কোনও স্থলে । * দ্রব্যের বিশেষণ রূপে মত্বর্থীয় প্রত্যয়যোগে প্রযুক্ত হয় – যেমন “দণ্ডী’, ‘কুণ্ডলী’ ইত্যাদি। কিন্তু । স্নাতন্ত্রভাবে অবস্থিত এবং স্বতন্ত্রভাবে প্রতীত হওয়ার যোগ্য না হইলে মত্বৰ্গীয় প্রত্যয়যোগে বিশেষণভাবে প্রযুক্ত হইবে না। ইহাদের বিশেষণাত্ব কেবল সামানাধিকরণ্য নিবন্ধনই ব্যবস্থিত হয় । গোত্বাদি জাতিবিশিষ্টরূপে যেমন গবাদি শৰীবের ব্যবহার করা হয়, সেরূপ মনুষ্যাদি শরীরকে কেহ কখনও আত্মনিষ্ঠ বলিয়া আত্মার সহিত অভিন্নরূপে উপলব্ধ করেন। না। অতএব ‘মনুষ্যই আত্মা’ এইরূপ যে সামানাধিকরণ্য দৃষ্ট হয়, উগ লাক্ষণিক । এরূপ সিদ্ধান্ত অসিদ্ধ। জাতি ও গুণের ন্যায়ু মনুষ্যাদি শরীরও আত্মাশ্রিত, আত্ম- } প্রয়োজনবিশিষ্ট আত্মারই প্রকারস্তোতিক অর্থাৎ আত্মারই বিশেষণব্যুৎ। মনুষ্যাদি শরীর যে | আত্মাশ্ৰিত, ইহা স্পষ্টতঃই প্রতিপন্ন হয়। কেন না, দেহ হইতে আত্মা বিশ্লিষ্ট হইলেই দেহ- } নাশ ঘটে। আত্মীকৃত কৰ্ম্মফল ভোগাের্থই দেহের উদ্ভব। আত্মাই দেবতা ও মনুষ্য হয়, । ইহাতে বুঝা যায় যে, দেবত্ব ও মনুষ্যত্ব প্রভৃতি আত্মারই বিশেষণ-আত্মারই প্রকারস্তোতক। ] জীবাদি শব্দে যে কেবল আত্মাকে না বুঝাইয়া ব্যক্তি পর্যন্ত বুঝায়, আত্মৈকাশ্ৰয়ত্বই উহার } হেতু। দণ্ড-কুণ্ডলাদিতে আত্মার প্রকারত্ব না থাকাতেই উহারা মত্বর্থীয় প্রত্যয় দ্বারা নিষ্পন্ন হইয়া বিশেষণের আকার ধারণ করে। -- ( শ্ৰী ভাষ্য )। যদি বল, জাতি ও মনুষ্যাদি দেহ চক্ষুগ্রহ, অতএব সততাই উহার একত্ব-প্রতীতি হয় ; } কিন্তু আত্মা ত চক্ষুর গ্রাহী নহে। এ কথাও বলিতে পার না। কেন না, জাত্যাদির ন্যায় । } একমাত্র আত্মার আশ্রয়ে থাকায় অর্থাৎ আত্মার প্রয়োজন সাধনে নিযুক্ত থাকায় শরীরও لاپې আত্মারই প্রকারত্বন্থোতক অর্থাৎ বিশেষণ । যেমন গন্ধাদি গুণ পৃথিব্যাদির স্বাভাবিক গুণ হইলেও চক্ষুদ্বারা পৃথিব্যাদি দর্শনের সময় উহাদের, গন্ধাদি স্বাভাবিক গুণ দৃষ্ট হয় না, আত্মার সম্বন্ধেও সেই কথা । এই প্রকারে als যে, শরীরের ও আত্মার প্রকারত্ব-( বিশেষণ) ছোতিক স্বভাবের অভাব নাই। অর্থাৎ "শরীরও “আত্মার বিশেষণই বটে । যদি বল, শব্দ ব্যবহারেও দেখা যায় যে, শরীর শব্দ কেবল দেহমাত্রকেই বুঝায়, শরীর শব্দে আত্মা বুঝায় না। এ কথা বুলিতে পার না । কেন না, শরীর আত্মারই বিশেষণ। আত্মার বিশেষণভাবেই শরীরের পদার্থীয়ংজ্ঞা । শরীর শব্দটি আত্মারই পরিচায়ক। গোত্ব ও শুরুত্ব, আকৃতি ও গুণকে বুঝায়, শরীরও সেইরূপ আত্মাকে বুঝায়। অতএব গবাদি শব্দের ন্যায় দেব,

  • * মনুষ্য প্রভৃতি শব্দগুলিও আত্মা পৰ্য্যন্ত বুঝায়। এইরূপ দেব-মনুষ্যাদি দেহধারী জীব-সকল

Digitized at BRCindia.com