পাতা:সাধুচরিত.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾& সাধু-চরিত। কিয়দিন পরেই উন্নতিশীল ব্রাহ্মগণ স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন উপস্থিত করেন । লাহিড়ী মহাশয় চিরদিন স্ত্রীশিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন । বঙ্গীয় রমণীগণ মুর্থ হইয়া অন্তঃপুরে আবদ্ধ থাকিবেন, পৃথিবীর সহিত তাহাদের কোনও সংস্রব থাকিবে না, ইহা তিনি ভালবাসিতেন না । তাহার দৃঢ়বিশ্বাস ছিল যে, আমাদের কন্যাগণকে ষত্বপূর্বক শিক্ষণ দিতে হইবে, সর্বববিষয়ে তাহাদিগকে উন্নত করিতে হইবে, নতুবা বাঙ্গালীজাতি ক্রমে হীন হইতে হীনতর দশায় উপনীত হইবে ; এবং সেই কারণেই তিনি স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। “হিন্দুমহিলা বিদ্যালয়” স্থাপিত হইবামাত্র তিনি তাহার দ্বিতীয় কন্যা ইন্দুমতীকে সেই স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দিলেন । এইরূপে কয়েক বৎসর অতিবাহিত হইল । কৃষ্ণনগরে বাসকালে একদিন লাহিড়ী মহাশয় সংবাদ পাইলেন যে, র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র নবকুমারের যক্ষমারোগের লক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছে । নবকুমার মেডিকেল কলেজে পড়িতেন । পাঠ্যবিষয়ে কৃতী হইবার জন্য তিনি গুরুতর পরিশ্রম করিতেন । সেই অপরিমিত পরিশ্রমের ফলে তিনি দারুণ রোগে আক্রাস্ত হইলেন । আমাদের দেশে পরীক্ষার জন্য গুরুতর পরিশ্রম করা