পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পাদন-ভার অর্পণ করেন। এখানেও তাহার বিবেচনায় কোন ভুল হয় নাই। বিদ্যাসাগর অত্যস্ত সদালাপী ছিলেন। লোকে তাহার কথাবার্তা মুগ্ধ হইয়া শুনিত। রসিকতায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। মানুষের অকৃতজ্ঞতায় জীবনের অপরাহ্লে তাহার মনটা তিক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। “সে আমার নিন্দে করলে কেন, আমি ত তা’র কোন উপকার করি নি"-এইরূপ তীব্র ব্যত্বপূর্ণ কথা তাই তাহার মুখ দিয়া উচ্চারিত হইতে শুনিতে পাই । বিদ্যাসাগরের কৰ্ম্মশক্তি ছিল অপূৰ্ব্ব। কৰ্ম্মের মধ্য দিয়াই তাহার প্রতিভা ক্ষুক্ত হইত। তিনি ভাবুকের ন্যায় শুধু স্বপ্ন দেখিতেন না,— তিনি কাজের লোক ছিলেন। তাই যে-কাজ অন্তের কাছে প্রায় অসম্ভব ছিল, সেই কাজকেই তিনি সম্ভবপর করিয়া তুলিয়াছিলেন। আমরা তাহার সমস্ত জীবনের কার্য্যাবলী একটু ধীরচিত্তে পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাই, এক দিক্ দিয়া তিনি যেমন সঙ্কল্পে অটল দৃঢ়চিত্ত পুরুষ ছিলেন, অন্ত দিকে তেমনই পূৰ্ব্বাপর বিবেচন৷ করিয়া অত্যন্তপূরদর্শিতার সহিত সমস্ত কাজ করিতেন। সঙ্কল্পে এক তিল বিচ্যুত না হইয়াও তাহাকে গোয়ার অপবাদ শুনিতে হয় নাই। • অন্যায়ের সমর্থনে তিনি কখনও জিদ প্রকাশ করেন নাই । কিন্তু যেখানে তিনি স্বীয় কায্যের যৌক্তিকতা সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হইতেন, সেখানে কিছুতেই কেহ তাহাকে টলাইতে পারিত না। প্র্যাট সাংে:বর বিদায় গ্রহণের পরও বিদ্যাসাগর মহাশয়কে যখন স্কুল-ইস্পক্টরের পদ দেওয়া হইল না, তদানীন্তন ছোট লাট হালিডে সাহেবের অনুরোধ সত্ত্বেও তখন তিনি পদত্যাগ করিতে ইতস্তত: করেন নাই। ডাঃ ৭। লাটা লৈব সহিত বিবাদেও তাহার বিশেষ স্বাধীনচিত্তত প্রকাশ ... va