পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৩ ] শব্দ রহস্য YA > ধারণা করিয়া কবির চক্ষে অধিকতর সৌন্দৰ্য্যশালিনী হইয়া থাকে । “সূৰ্য্যমুখী” যেমনই রূপবতী, তেমনই প্ৰণয়িনী ; প্রণয়ী সুৰ্য্যকে ক্ষণেকের তরেও চক্ষুর আড়াল করিতে পারে না, তাই সুৰ্য্য যে দিকে যায়, প্ৰণয়িনী সুন্দর মুখখানি সেই দিকেই ফিরাইয়া থাকে। শেফালিকার অতি মনোহর গন্ধ ; সৌরভে আকৃষ্ট হইয়া অলিদল আর কোথাও যাইতে চাহেনা, উহার শেফালিকায় শয়ন করিয়া পরিমল উপভোগ করিতে থাকে। তাই ঐ কুসুমের নাম “শেফালিক” ( শেফ শয়নশীল + অলি যেখানে ) হইয়াছে। ‘রজনীগন্ধ নিশাকালে কেমন চারি দিকে সৌরভ বিকীর্ণ করে। “রাধাপদ্ম'। রাধিকারই পদ্ম বটে, যেমন রাধিকার কাঞ্চনবর্ণ, পুষ্পেরও সেই রূপ গৌরবর্ণ। “কুন্দ’ত সৌরভে ভূমিকে আর্দ্র করে বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। অপরাজিতার কি মনোহর নীলরূপ ! যখন শু্যামল লতিকায় নীলপুষ্পগুলি প্রস্ফুটিত হয়, তখন সেই শোভা দেখিলে হৃদয় এরূপ উৎফুল্ল হইয়া থাকে যে উহাকে “অপরাজিতা” (অ, বিষ্ণুকে যে স্বীয় বর্ণে পরাজিত করিয়াছে) নাম অৰ্পণ না করিলেও মনের তৃপ্তি হয় না । ‘বক’ ফুল ত বকেরই মত। বর্ণ ও আকৃতিতে উভয়ের মধ্যে বেশ সাদৃশ্য আছে। 慢 বৃক্ষলতা ও জন্তু প্ৰভৃতির নামেও অনেক স্থলে সুন্দর ভাব গ্রথিত আছে। অশ্বখ বৃক্ষ যে, বহুকাল স্থায়ী, তাহা তাহার নামেই পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। ‘মালতী’ মা অর্থাৎ শোভাকে বেষ্টন করিয়া থাকে। ‘মাধবী মধুমাসে পুষ্পদামে অতি মনোহর শোভা ধারণ করে, সেই জন্য উহার আর একটী নাম “বাসন্তী”। ফলতঃ মনুষ্যহীদয়ের সুললিত ভােব সৰ্ব্বত্রই প্রকাশ পাইয়াছে। সহৃদয় ব্যক্তি যখন যে দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াছেন, সেই দিকেই কোন না কোন বস্তুতে র্তাহার মনের সুন্দর ভাব গ্রথিত করিয়া রাখিয়াছেন। তঁহার কল্পনা সৰ্ব্বাস্থলে প্ৰবেশ করিতে প্ৰয়াস পাইয়াছে। তিনি নদীতীরে দাঁড়াইয়া মার্জারসদৃশ কোন জন্তুকে মৎস্য ধরিতে দেখিয়া তাহাকে উদ্বিড়াল’ বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন; আবার বৃক্ষের দিকে তাকাইয়া। তদুপরি বিড়ালের ন্যায় ক্ষুদ্র জন্তুগুলিকে বিচরণ করিতে দেখিয়া তাহাদিগকে “কাঠমার্জার” অর্থাৎ কাঠ বিড়াল নাম প্ৰদান করিায়াছেন। পুষ্পোপরি উড়ীয়মান ভ্রমরের মস্তকে দুইটী রেফের অন্যান্ড (৭rন ভদেষ্ঠ প৮ওঁ ; উহাকে “দ্বিরেফ’ নামে অভিহিত কবিয়াছেন। ‘অক্ষ মাও ইহার এক প্রধান উদ্দেত । বুঝায়, তাহা । ভাবপূর্ণ রসাত্মক শব্দকে “আত্মার বায়ু বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, যেহেতু ধরিয়া গ্রাস, না থাকিলে আমাদিগের আত্মা স্রোতোহীন জলরাশির ন্যায় স্তম্ভিত ও विद्रांभांन श्रीं *८फ़् ।। সমূহে পা बौदिएश्न 5ष्मदर्रो । 9t سس۔سس۔ * '