পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SIR সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [७ ज६श्J BDBD DBDDBD tBB BBD BDDBDB LDDL BDBB BBDDBDB DDD DBDDDBB হইতে কিরূপে যথার্থ অলঙ্কারবিদ্যার সৃষ্টি হইতে থাকে। এণ্টিফানের অলঙ্কার গ্ৰন্থ বিরচিত হইবার পর হইতে আথেন্সনগরীর গদ্য সাহিত্যের রীতি-পরিবর্তন ও গুরুত্ব এবং আড়ম্বরবৃদ্ধি হয়। আর বিষম বাক্য প্রয়োগের মনোহর বৈচিত্ৰ্য দৃষ্ট হইতে থাকে। লেখকগণের চিন্তাশক্তি ও সাহস পুর্ণ হয়। বাক্যের আকৃতি জটিল হইলেও উহা ওজস্বিতাপুর্ণ এবং হৃদয়স্পৰ্শী হইতে থাকে। কথিত আছে আইসোক্রেটিস একখানি উৎকৃষ্ট অলঙ্কারগ্রন্থ রচনা করেন। তিনি অলঙ্কারের নিম্নলিখিত লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন । যে বিদ্যার সাহায্যে লোককে বিষয় বিশেষে প্ররোচিত করা যায় তাহাকে অলঙ্কারবিজ্ঞান বলে। তিনি খৃঃ পূঃ ৩৯০ অব্দ হইতে ৩৪০ অব্দ পৰ্য্যন্ত অলঙ্কার-শাস্ত্রের আলোচনা করেন। আইসোক্রেটিস যে আলঙ্কারিক সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তন করেন তন্মধ্যে টাইমোথিনিস, লিয়োডেমস, লাইকারগস, হাইপিরীডিস প্রভৃতি রাজনৈতিক, পেনসিপপাস্, আইসিয়াস প্রভৃতি দার্শনিক, ইফোরস্, থিয়োপম্পাস প্রভৃতি ঐতিহাসিকগণ প্ৰধান। খৃঃ পূঃ ৩৩০ অব্দ হইতে ৩২২ অব্দ পৰ্য্যন্ত আট বৎসর মধ্যে আরিষ্টোটল অলঙ্কারগ্রন্থ রচনা করেন । তিনি বলিয়াছেন, “আইসোক্রেটিসই সৰ্ব্বপ্ৰধান আলিঙ্কারিক ছিলেন।” সাহিত্যরূপে বিচার করিতে হইলে আরিষ্টেটলের গ্ৰন্থ জগতে অতি নীরস বলিয়া প্ৰতীত হইবে । বৈজ্ঞানিক ভাবে বিচার কারলে উহা অত্যন্ত মনোহর ও চমৎকার জনক বোধ হয়। অ্যারিষ্টেটলের অলঙ্কারগ্রন্থ তর্কবিদ্যা অপেক্ষা ব্যাকরণ-বিদ্যার সহিত অধিকতর সংশ্লিষ্ট । একমাত্র যুক্তি কত প্ৰকার বাক্যদ্বারা প্ৰকাশ করিতে পারা যায় আরিষ্টেটল তাহা সুন্দর রূপে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। ঐ প্রকার বিভিন্ন বাক্যসমূহের পরস্পর তুলনা করিয়া তিনি কতকগুলি সাধারণ নিয়ম আবিষ্কার করেন। ঐ নিয়মসমূহ সংগৃহীত করিয়া আরিষ্টেটল স্বীয় অলঙ্কারসুত্ৰ প্ৰণয়ন করিয়াছিলেন। তিনি বলেন, “র্তাহার পূর্ববৰ্ত্তী আলঙ্কারিকগণ অলঙ্কারবিদ্যার যেরূপ প্রয়োগ করিয়াছেন তাহা সম্পূর্ণ বিস্ময়কর ও সৰ্ব্বথা অনুপযুক্ত। আলঙ্কারিকগণ দয়া, ক্ৰোধ, পক্ষপাতিত্ব প্রভৃতি চিত্তবিকার উৎপাদনা করিয়া ব্যক্তিবিশেষকে বিষয়বিশেষে কিরূপে প্ররোচিত করিতে হয় তাহাই প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, কিন্তু র্তাহাদের জানা উচিত যে, এইরূপ চিত্তবিকৃতি উৎপাদনা করিলে স্বীয় অভীষ্ট সিদ্ধ হয় বটে, কিন্তু প্ৰকৃত বিষয়ের যৌক্তিক প্ৰমাণ প্ৰদৰ্শিত হয় না ।” তাহার মতে কতকগুলি তর্কপূর্ণ বাক্যের সৃষ্টি করিয়া সেই তর্কজালে বিচারক ও প্ৰতিপক্ষকে জড়িত করিয়া বাধ্য করিতে পারাই অলঙ্কারবিজ্ঞানের প্রকৃত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। বিচারকের চিত্তবৃত্তিকে আকৃষ্ট করিয়া স্বীয় অভীষ্টসিদ্ধি অপেক্ষা তর্কপূৰ্ণবাক্যে আবদ্ধ করিয়া তাহাকে স্বীয় অনুকুলে আনয়ন করিতে পারিলেই অলঙ্কার বিদ্যার যথার্থ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল মনে করিতে হইবে ।