পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাসউপন্যাস । १ 9 করিতে আসিতে লাগিল । তিনিও নিদ্রাসময় ব্যতীত কি দিবস কি রাত্রি সকল সময়েই তাহাদিগকে অধ্যয়ন করাইতেন ও স্বয়ং সৰ্ব্বদা বেদপাঠ ও বেদার্থ চিন্তা করিতেন । কালক্রমে স্বজাত গর্ভবতী হইলেন । পিতার মুখে নিরস্তর বেদপাঠ ও শাস্ত্রালাপ শুনিতে শুনিতে গর্ভস্থ বালক সাঙ্গ বেদ ও অপরাপর শাস্ত্রে পারদর্শী হইয়া উঠিল । একদিন রাত্রিকালে কহোড় শিষ্যগণ পরিরত হইয়া উচ্চৈঃস্বরে বেদপাঠ করিতেছেন, এমন সময়ে মাতৃগর্ভস্থ বালক পিতাকে সম্বোধন করিয়া বলিল “হে পিত! আমি আপনার প্রসাদে মাতৃগর্ভে থাকিয়াই সমগ্র বেদে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছি । আপনি সৰ্ব্বদা বেদপাঠ করেন, কিন্তু নিদ্রা ও তন্ত্রাদি দোষ বশতঃ সকল সময়ে সকল স্থল শুদ্ধরূপে উচ্চারিত হয় না ।” কহোড় শিষ্যগণ মধ্যে আপনাকে এইরূপে অপমানিত দেখিয়া গৰ্ব্বস্তু শিশুকে এই বলিয়া অভিশাপ প্রদান করিলেন যে— যম্মাৎ কুক্ষে বর্তমানে ব্ৰবীষি তস্মাদ্বক্রে ভবিতাস্তষ্টরুত্বঃ । তুমি কুক্ষিস্থ থাকিয়া আমার প্রতি এইরূপ বাক্য প্রয়োগ করিলে অতএব তুমি অষ্টাঙ্গে বক্র হইবে । পিতার অভিশাপে অষ্ট অবয়ব বক্র হওয়াতে ঐ বালক অষ্টাবক্র নামে বিখ্যাত হইয়াছিল । কিছু দিন পরে মুজাতা আপনার প্রসবকাল নিকটবর্তী বুঝিতে পারিয়া একদিন কহোড়কে নির্জনে বলিলেন ‘স্বমিন্‌ ! আমার প্রসবকাল সমাগতপ্রায় অতএব এক্ষণে কিঞ্চিৎ অর্থ সংগ্রহ করা কৰ্ত্তব্য কহোড় পত্নীর ঈদৃশ বাক্যে অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়। বলিলেন ‘প্রিয়ে । বিদেহনগরে রাজর্ষি জনক এক মহা যজ্ঞ আরম্ভ করিয়াছেন, তথায় যাইলেই যথেষ্ট অর্থ সংগ্রহ . $ 2