পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

देशिडैनिक्रिं y \)\9 ১। রোগোৎপাদন প্ৰণালী—মাইক্রোব কি প্রণালীতে রোগ উৎপাদন করে, তৎসম্বন্ধে দুই প্রকার মত প্রচলিত। কেহ কেহ বলেন জীব দেহে স্বাভাবিক অবস্থায় এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ য়াল্টিভোট থিওরি স্থ ("mothy) থাকে; এই পদার্থের মাইক্রোব বিনাশ করিবার শক্তি আছে। অবস্থা বিশেষে দেহে এই পদার্থের অভাব হইলে মাইক্রোব প্রবিষ্ট হইয়া বৰ্দ্ধিত হয় এবং রোগ উৎপাদন করে । ক্লাইনের এই মত। কিন্তু অধুনা অধিকাংশ ব্যাক্টরিয়াতত্ত্ববিৎদিগের ফ্যাগোসাইটোসিস মতে আস্থা । তঁাহারা বলেন আমাদের রক্তের হোয়াইট সেলসকল দেহকে শক্র হস্ত হইতে রক্ষা করিবার জন্য যেন সৈন্য শ্রেণীর ন্যায় সৰ্ব্বদা যুদ্ধাৰ্থ সুসজ্জিত রহিয়াছে। তাহাদিগকে ফ্যাগোসাইট কহে। ব্যাকটিরিয়া দল দেহে প্ৰবেশ করিবামাত্র এই সৈন্যশ্রেণী দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং টক্‌সিন (toxin) নামক বিষ নিৰ্গত করে। ব্যাকটিরিয়া রাশি ফ্যাগোসাইট কর্তৃক নিহত হইলে স্বাস্থ্যের কিছুই ব্যতিক্রম হয়। না ; কিন্তু ফ্যাগোসাইট দল টক্‌সিন বিষে বিনষ্ট হইলে ব্যাক্টরিয়ার বংশ ক্ৰমশঃ বৰ্দ্ধিত হয় এবং ব্যাকটিরিয়াজনিত রোগের লক্ষণ প্ৰকাশিত হইতে থাকে । ২ । ইমিউনিটি (immunity)—ইমিউনিটি, বা জীব দেহের রোগ হইতে নিস্কৃতিলাভ করিবার শক্তি, দুই প্রকার, ন্যাচারেল ( natural ) বা স্বাভাবিক এবং য়্যাকিয়ার্ড (acquired) বা লব্ধ। আন্থ,াক্স্ ব্যাসিলাস মানবের বা তৃণহারী জীবের দেহে প্রবেশ করিয়া আস্তু,াক্স উৎপাদন করে ; কিন্তু সৰ্ব্বভুকু শূকর এবং মাংসাশী জীবদিগের ন্যাচারেল ইমিউনিটি আছে বলিয়া তাহদের দেহে আন্থাকৃস বাসিলাস প্ৰবেশ করিয়া কোন অনিষ্ট করিতে পারে না । এই স্বাভাবিক শক্তিবশতঃ অনেকে সংক্ৰামক রোগের সংস্পর্শে আসিয়াও অনেক সময় রোগাক্ৰান্ত হয় না । দেহ একবার সংক্ৰামক রোগে আক্রান্ত হইলে ঐ রোগের পুনরাক্রমণ বিফল করিবার যে শক্তি প্ৰাপ্ত হয়, তাহাকে য়্যাকিয়ার্ড ইমিউনিটি বলে। এই শক্তি লাভের কারণ কি ? (১) এই বিষয়ে পুরাতন মত এই যে, ব্যাক্‌ ফ্যাগোসাইটোসিস (phagocytosis) ন্যাচারেল ইমিউনিটি য়্যাকায়াড ইমিউনিটি