পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলজনিত টাইফয়েড । YG বলেন উক্ত জলের টাইফয়েড জ্বরোৎপাদন শক্তি অধিকক্ষণ থাকে না, কারণ টাইফয়েড ব্যাসিলাস জলস্তু অপর ব্যাসিলাস দ্বারা বিনষ্ট হয়। সুইজালগু দেশস্থ লিসেন নামক স্থানে একদা টাইফয়েড এপিডেমিক হয়। তথাকার একটী নিঝরিণীর জল যাহারা পান করিত তাহারাই আক্রান্ত হইয়াছিল। পৰ্ব্বতের অপর পার্শ্বে একটী ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী ছিল। ঐ জলে টাইফয়েড মল নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। ঐ স্রোতস্বতী “বাঁধ” দিবার পর পূৰ্ব্বোক্ত নিঝরিণীর জল বিস্বাদ ও ঘোলা হইয়া পড়িল। তৎপর একদিনে ১০ জন এবং পরবর্তী নয় দিনে ৫৭ জন টাইফয়েড জ্বরে আক্ৰান্ত হয়। স্রোতস্বতীর জলে লবণ নিক্ষেপ করিয়া ঐ নিঝরিণীর জলে লবণাস্বাদ পাওয়া গিয়াছিল । সুতরাং স্রোতস্বতীর সঙ্গে নিঝরিণীর যে যোগ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই । ১৮৭৮ সালে বিলাতের কেটারহাম ও রেড হিল স্থানদ্বয়ে টাইফয়েডের অত্যন্ত প্রাজুভােব হয়। ডাক্তার থান থান অনুসন্ধান করিয়া স্থির করিলেন যে তথাকার কূপজলে একজন টাইফয়েড রোগীর মল নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। সেই জল যাহারা পান করিয়াছিল তাহারা টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়। দ্বারা জল তুলিয়া ফেলিয়া কূপ পরিষ্কার করিবার পর রোগ অন্তৰ্হিত হহ’ল । ডহঁামের অন্তবত্তী নিউ হ্যারিংটনে ১৮৮৯ সালে দুই মাসে ২৭৫ ব্যক্তি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। গবৰ্ণমেণ্টের বিবরণীতে প্ৰকাশ হয় যে, একটা সুয়েজ (sewage) পুর্ণ পুষ্করিণীর সুয়েজ মৃত্তিকার চিড় দিয়া একটি গভীর কূপে প্রবেশ করিয়াছিল। ঐ কূপজল হইতে রোগের উৎপত্তি। ঐ চিড়ে লবণ নিক্ষেপ করিয়া দেখা গেল। কুপের জলে ৫ গুণ ক্লোরিণ বৃদ্ধি হইয়াছিল। সুতরাং ঐ চিড়ের সঙ্গে যে কুপের যোগ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। এইরূপে দুষিত জলজনিত টাইফয়েড বিস্তারের ভুরি ভুরি উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে। দুষিত জল মিশ্রিত দুগ্ধ হইতে টাইফয়েড জ্বরের উৎপত্তি সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। জলজাত টাইফয়ডের লক্ষণ অতি শীঘ্ৰ প্ৰকাশিত হয়। বায়ুজাত টাই ফয়েডের ইনকুবেসন পিরিয়ড ৮ হইতে ১৪ দিন, জলজাত টাইফয়েডের ২/৩ দিন মাত্ৰ । 尊