পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু আইনের উৎপত্তি ও উপকরণ (t ংশ পরিবর্তিত হইয়াছে। যথা, যে বালক তাহার পিতামাতার একমাত্র পুত্র, তাহাকে দত্তকরূপে গ্রহণ করা শাস্ত্রোক্ত হিন্দু আইনে নিষিদ্ধ ; .কিন্তু প্রিভিকেন্সিল কর্তৃক ঐরুপ দত্তকগ্রহণ সিদ্ধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইল ( ২২ মাদ্রাজ ৩৯৮ ; ২১ এলাহাবাদ ৪৬০ ; ২৪ বোম্বাই ৩৬৭ ) । (৭) প্রথা। প্রাচীন হিন্দু আইনকর্তৃগণ হইতে আরম্ভ করিয়া বর্তমান কালে আদালতের বিচাবিপতিগণ পৰ্য্যস্ত সকলেই সামাজিক প্রথার খুব উচ্চ স্থান দিয়াছেন। প্রিভি কৌন্সিল একটি মোকদ্দমায় স্পষ্টই বলিয়াছেন যে যদি কোনও লিখিত আইন এবং সামাজিক প্রথা পরম্পরবিরোধী হয়, তাহা হইলে লিখিত আইন অপেক্ষা প্রথই বলবত্তর বলিয়া গণ্য হইবে ( মাদুরাব কালেক্টর ব: মুথু রামলিঙ্গ, ১২ মুরস্ ইণ্ডিয়ান আপীল ৩৯৭ সকলেই জানেন যে রাজ-এষ্টেটগুলি (যথা বৰ্দ্ধমান রাজ এষ্টেট, দ্বাণবঙ্গ রাজ এষ্টেট ) বিভাগ করা যায় না, এবং উহা কেবলমাত্র জ্যেষ্ঠ পুত্ৰই পাইয়া থাকেন ; ইহাই প্রথার একটা প্রক্লষ্ট উদাহরণ ; সাধারণ হিন্দু আইনের বিভাগ ও উত্তরাধিকার বিষয়ক কোনও বিধান এস্থলে প্রযোজ্য হইবে না, প্রথাই প্রবল থাকিবে । তবে সকল প্রথাই যে এইরূপ প্রবল বলিয়া গণ্য হইবে তাহা নহে । যে প্রথা বহুদিন ধরিয়া ( অন্ততঃ একশত বৎসর ধরিয়া ) চলিয়া আসিতেছে, যাহার কোনও পরিবর্তন হয় নাই এবং যাহা সামাজিক নীতিবিরুদ্ধ নহে, এইরূপ প্রথাই আদালত কর্তৃক গৃহীত হইবে ( রামলক্ষ্মী ব: শিবানন্দ, ১৪ মুরস ইণ্ডিয়ান আপীলস ৫৮৫ ) । যাহা অল্পদিন মাত্র হইয়াছে.(৩ মাদ্রাজ ল জাৰ্ণাল ১১ , ১৩ বেঙ্গল ল রিপোর্ট ১৬ }, যাহা পরিবর্তনশীল, এবং যাহা, ধৰ্ম্মনীতি-বিরুদ্ধ (২১ মাদ্রাজ ২২৯ ) এরূপ প্রথা কোনও মত্ত্বেই প্রবল বলিয়া বিবেচিত হইবে না। এই সাতুটা উপকরণের সংমিশ্রণে বৰ্ত্তমান হিন্দু আইন গঠিত হইয়াছে। ইহা হইতেই স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়, যে শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ